দেশের মানুষ তার কষ্টের কথা বলার অধিকার হারিয়েছে দাবি করে বিএনপি নেতারা বলেছেন, মানুষ কষ্টের কথা বললেও তাকে এখন ধরে নিয়ে অত্যাচার করা হচ্ছে। মানুষ তার সকল স্বাধীন অধিকার, মতপ্রকাশের অধিকার, কথা বলার স্বাধীনতা, ভোটের অধিকার হারিয়ে ফেলেছে। দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব পর্যন্ত হুমকির সম্মুখিন। হারানো অধিকার ফিরে পাওয়ার প্রত্যাশা, আশা ও আকাঙ্খা নিয়ে জনগন বিএনপির পাশে এসে দাঁড়িয়েছে উল্লেখ করে বিএনপির শীর্ষ নেতারা বলেছেন, মানুষের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত না করা পর্যন্ত বিএনপির একজন নেতাকর্মীও ঘরে ফিরে যাবেনা।
রবিবার (২ এপ্রিল) খুলনায় নগরীর বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ, পেশাজীবী সমাজ ও রাজনৈতিক কর্মীদের সম্মানে মহানগর বিএনপি আয়োজিত ইফতার অনুষ্ঠানের পূর্বে আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে অংশ নিয়ে বিএনপির শীর্ষ নেতারা এসব কথা বলেন।
তারা বলেন, সরকারের অত্যাচার, লুটপাট ও অধিকার কেড়ে নেয়ার প্রতিবাদে দেশের মানুষ সকল বিভাগে অনুষ্ঠিত গণসমাবেশে স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশ নিয়ে সফল করেছে। সরকার অঘোষিত কারফিউ দিয়েও জন¯্রােত ঠেকাতে পারেনি। গতকালও খুলনায় একটি শান্তিপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচিতে হামলা চালিয়ে অসংখ্য নেতাকর্মীকে আহত করা হয়েছে। গ্রেফতার ও মামলা দেয়া হয়েছে। কিন্ত মানুষের অংশগ্রহণ তারা ঠেকাতে পারছেনা।
ইফতার অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা। সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহবায়ক অধ্যাপক ডাঃ এ জেড এম জাহিদ হোসেন। বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক (ভারপ্রাপ্ত) অনিন্দ্য ইসলাম অমিত, ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, সহ প্রচার সম্পাদক কৃষিবীদ শামীমুর রহমান শামীম, জেলা বিএনপির আহবায়ক আমীর এজাজ খান, সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী। আলোচনার এক পর্যায়ে লন্ডন থেকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সরাসরি স্কাইপে যুক্ত হন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডাঃ এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, আমাদের সামনে এখন লক্ষ্য একটাই। সংসদের বিলুপ্তি ও হাসিনার পতন। এই সরকারের বিরদ্ধে দেশের মানুষ ঐক্যবদ্ধ হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, দেশনেত্রীকে মুক্ত না করে, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে না এনে, জনগনের ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠিত না করে একজন নেতাকর্মীও আর ঘরে ফিরে যাবেনা।
আলোচনা শেষে মুসলিম উম্মাহর শান্তি সমৃদ্ধি, দেশ থেকে অপশসান দুঃশাসনের অবসান, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি, গণতন্ত্রের লড়াইয়ে নিহত সকল শহীদের রুহের মাগফিরাত কামনা এবং আহত ও অসুস্থদের সুস্থতা কামনা করে এবং অর্থনৈতিক চাপের এই সময়ে মানুষের দুঃখ কষ্ট লাঘবে মহান রাব্বুল আলামিনের রহমত কামনা করে বিশেষ দোয়া মোনাজাত পরিচালনা করেন ওলামা দল নেতা মাওলানা জাহিদ হোসেন। – খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা গেজেট/কেডি