যানজট নিরসনে দেশের প্রথম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের দ্বার খুঁলছে আজ। শনিবার (২ সেপ্টেম্বর) প্রকল্পটির অংশ বিশেষের উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঢাকার বুকে নির্মিত এ উড়াল পথের প্রথম ফেজ অর্থাৎ কাওলা থেকে ফার্মগেট অংশের উদ্বোধন করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর সর্বসাধারণের জন্য তা খুলে দেওয়া হবে আগামীকাল রোববার (৩ সেপ্টেম্বর) ভোর ৬টায়। সংশ্লিষ্টরা আশা প্রকাশ করছেন, এ পথ ব্যবহার করে মাত্র ১০-১২ মিনিটে কাওলা থেকে ফার্মগেটে পৌঁছানো যাবে। তবে, এজন্য গুণতে হবে নির্দিষ্ট পরিমাণ টোল।
রাজধানীর বিমানবন্দরের পাশে কাওলা থেকে চিটাগাং রোড এলাকার কুতুবখালী পর্যন্ত তৈরি হচ্ছে ঢাকা এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে। এক্সপ্রেসওয়ের প্রকল্প পরিচালক এ এইচ এম এস আকতার বলেন, এক্সপ্রেসওয়ের প্রথম ফেজ কাওলা থেকে ফার্মগেট পর্যন্ত অংশের নির্মাণকাজ শেষ হওয়ায় এটি এখন জনসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে। দ্বিতীয় ফেজ তেজগাঁও থেকে কুতুবখালী পর্যন্ত অংশের কাজ চলমান।
ঢাকা উড়ালসড়ক প্রকল্পটি দুই ভাগে বিভক্ত। মূল নির্মাণকাজ ও সহযোগী কাজ। মূল নির্মাণকাজে ব্যয় ধরা হয়েছে ৮ হাজার ৯৪০ কোটি টাকা। এর মধ্যে ২ হাজার ৪১৩ কোটি টাকা সরকার ব্যয় করছে। বাকিটা বিনিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান খরচ করছে।
এর বাইরে জমি অধিগ্রহণ, ক্ষতিগ্রস্তদের পুনর্বাসন ও পরামর্শকদের পেছনে ব্যয়ে আলাদা একটি প্রকল্প আছে। এর পুরো অর্থই ব্যয় করছে সরকার। বর্তমানে এই প্রকল্পে ব্যয় ধরা হয়েছে ৪ হাজার ৯১৭ কোটি টাকা। সব মিলিয়ে দুটি প্রকল্পে ব্যয় দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৮৫৭ কোটি টাকা।
২০০৯ সালে প্রকল্পটি নেওয়া হয়। ২০১১ সালে নির্মাণের চুক্তি হয়। নির্মাণকাল ধরা ছিল সাড়ে তিন বছর। তবে সময়মতো প্রকল্প বাস্তবায়ন করা যায়নি।
২০২৪ সালের জুনে প্রকল্পটির মেয়াদকাল শেষ হবে। পুরো প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে ঢাকা শহরের যানজট অনেকাংশে কমে যাবে এবং ভ্রমণের সময় ও খরচ হ্রাস পাবে। সার্বিকভাবে যোগাযোগ ব্যবস্থার সহজিকরণ, আধুনিকায়ন হলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে জিডিপিতেও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে।
খুলনা গেজেট/এইচ