দেশজুড়ে ‘স্বাধীনতা’ বিক্ষোভের ডাক দিয়েছেন পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। রবিবার (১৪ মে) এ আহ্বান জানান তিনি। গত সপ্তাহে তার গ্রেপ্তারের ঘটনায় উত্তাল হয়ে উঠেছিল গোটা দেশ। সহিংস বিক্ষোভ, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ, প্রাণহানির মতো ঘটনার পর শুক্রবার (১২ মে) জামিন পান পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফের (পিটিআই) এই নেতা।
গত বছরের এপ্রিলে অনাস্থা ভোটে ক্ষমতাচ্যুত হন ইমরান। তারপর থেকে কয়েক ডজন আইনি মামলার কবলে পড়েন তিনি। তাকে জমি জালিয়াতির এক মামলায় ইসলামাবাদ হাইকোর্ট প্রাঙ্গণ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে সে গ্রেপ্তারকে অবৈধ ঘোষণা করেন পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট।
শনিবার রাতে ইউটিউবে সম্প্রচারিত এক ভাষণে তিনি বলেন, ‘স্বাধীনতা সহজে আসে না। আপনাকে তা ছিনিয়ে নিতে হয়। এর জন্য আপনাকে ত্যাগ স্বীকার করতে হয়।’ পরে দেশজুড়ে প্রতিবাদকারীদের নিজ সড়কে এবং গ্রামে বিকাল সাড়ে পাঁচটা থেকে এক ঘণ্টার জন্য প্রতিবাদ করার আহ্বান জানান তিনি।
পাঁচ দিনের অস্থিরতার পর পাকিস্তানে সকাল নীরব ছিল বলে উল্লেখ করেছে এএফপি। কিন্তু ইমরান খান আগামী বুধবার (১৭ মে) থেকেই তাৎক্ষণিক নির্বাচনের দাবিতে প্রচারে নামবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
কয়েক মাস আগ থেকেই পিটিআইয়ের এই নেতা সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে নানান প্রচারণা চালিয়ে আসছিলেন। নানান সময়ে নানাবিধ মন্তব্যও করেছেন তিনি। ইমরান খান দাবি করেছেন, তাকে হত্যার চেষ্টাও করেছেন সামরিক বাহিনীর এক জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা। ফলে তাকে গ্রেপ্তারের পরই বিক্ষুব্ধ পিটিআই সমর্থকরা ক্যান্টনমেন্টে হামলা চালান, ভাঙচুর করেন জ্যেষ্ঠ এক সেনা কর্মকর্তার বাসভবনও।
লাহোরে নিজ বাড়ি থেকে ইমরান খান বলেন, ‘সেনাপ্রধানের কর্মকাণ্ড আমাদের সামরিক বাহিনীকে খারাপ করেছে। এটি তার জন্য হয়েছে, আমার জন্য নয়।’ তিনি বর্তমান সেনাপ্রধানের কথা বলছিলেন, না কি সাবেক সেনাপ্রধানের তা জানা যায়নি। ইমরান খান এর আগে নিজ ক্ষমতাচ্যুতির জন্য সাবেক সেনাপ্রধানকে দায়ী করেছিলেন। আর গত মঙ্গলবারের গ্রেপ্তারের জন্য তিনি দায়ী করেছেন বর্তমান সেনাপ্রধানকে।
খুলনা গেজেট/কেডি