সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার মাটিকুমড়া গ্রামের বৃদ্ধ আজগর আলীকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনায় জামাতাসহ পাঁচজনের নামে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বুধবার (২২ জুন) রাতে নিহত আজগার আলীর ছেলে মিজানুর রহমান বাদি হয়ে দেবহাটা থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার অবিযোগে তিনজনকে আটক করেছে।
আটককৃতরা হলেন, সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার বরেয়া গ্রামের আলাউদ্দিন, তার বাবা মুজিবর রহমান ও একই গ্রামের আজিবর রহমানের ছেলে আবুজার হোসেন (২৬)।
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার মাটিকুমড়া গ্রামের আজগার আলীর ছোট মেয়ে শিল্পী খাতুনের সঙ্গে কালিগঞ্জ উপজেলার তারালী ইউনিয়নের বরেয়া গ্রামের মুজিবর রহমানের ছেলে সালাহউদ্দিনের দু’বছর আগে বিয়ে হয়। সালাহউদ্দিন বেকার হওয়ায় বিয়ের পর থেকে যৌতুকের দাবিতে শিল্পীকে প্রায়ই নির্যাতন করতো। এ নিয়ে কয়েকবার শালিস হয়েছে। এরপরও নির্যাতন বন্ধ না হওয়ায় ১০ দিন আগে শিল্পীকে বাড়িতে নিয়ে এসে স্বামীকে তালাকনামা পাঠিয়ে দেওয়া হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সালাহউদ্দিন তার বন্ধু আবুজারকে নিয়ে মোটর সাইকেলে এসে মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার দিকে ঘরের বারান্দায় ঘুমিয়ে থাকা শ্বশুর আজগার আলীকে রাম দা দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করে। বুধবার ভোরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায় আজগার। সন্ধা সাড়ে ৬টার দিকে দেবহাটার মাটিকুমড়া গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
নিহত আজগার আলীর স্ত্রী মনোয়ারা খাতুন জানান, পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শ্বশুরকে হত্যার পর সালাহউদ্দিন ভারতে পালিয়ে যাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে আগে থেকে ভিসা প্রস্তুত করে রেখেছে। যে কোন সময়ে সে ভোমরা ইমিগ্রেশন দিয়ে ভারতে পালাতে পারে বলে তিনি আশঙ্কা করছেন।
দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ ওবায়দুল্লাহ জানান, এ ঘটনায় নিহতের ছেলে মিজানুর রহমান বাদি হয়ে ঘাতক সালাউদ্দিন, তার বাবা মুজিবর রহমান, মা আলেয়া বেগম, ভাই আলাউদ্দিন ও সালাহউদ্দিনের বন্ধু আবুজার এর বিরুদ্ধে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। আটককৃত তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/ টি আই