সাতক্ষীরার দেবহাটায় ফেয়ার বাংলাদেশ নামক একটি ভুইফোঁড় সমিতির বিরুদ্ধে গ্রাহকদের ঋণ দেওয়ার নাম করে সঞ্চয় বাবদ জনপ্রতি ৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠেছে। ইতিমধ্যেই উপজেলার আষ্কারপুর গ্রামের নিরীহ ও অসহায় মানুষদের কাছ থেকে কয়েক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও হয়েছে ওই সমিতির লোকজন।
গ্রাহকদের সাথে প্রতারণার দায়ে ভুক্তভোগীদের রোশানলে পড়েছেন ওই সমিতির এজেন্ট হিসেবে পরিচিত আষ্কারপুর গ্রামের মৃত বাহার আলীর ছেলে নওসের আলী ও তার স্ত্রী সুফিয়া খাতুন। এনিয়ে গত সোমবার (২৮ আগস্ট) আমজাদ হোসেন নামের একজন ভুক্তভোগী সমিতির এজেন্ট হিসেবে পরিচিত নওশের আলী ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দেবহাটা থানায় অর্থ আত্মসাত ও প্রতারণার অভিযোগ এনে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। তিনি আষ্কারপুর গ্রামের মোহর আলী গাজীর ছেলে।
আমজাদ হোসেনের লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, একই গ্রামের বাসিন্দা হওয়ায় অভিযুক্ত নওসের আলী ও তার স্ত্রী সুফিয়া খাতুন ভুক্তভোগীদের সকলের পরিচিত ছিলেন। প্রায় মাসখানেক আগে ওই দম্পতি ফেয়ার বাংলাদেশ নামের একটি সমিতি থেকে আমজাদসহ ওই গ্রামের বাসিন্দাদের রাতারাতি লক্ষাধিক টাকা করে ঋণ পাইয়ে দেয়ার কথা বলে ৬ হাজার থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত সঞ্চয় জমা দিতে বলেন। নওসের ও তার স্ত্রী সুফিয়ার কথা বিশ্বাস করে আমজাদ হোসেন ১৫ হাজার ৫শ’ টাকা, শওকত আলী ১০ হাজার ৫শ’ টাকা, আশরাফুল ইসলাম ২৫ হাজার ৫শ’ টাকা, ফজর আলী ১০ হাজার টাকা, ইউনুস গাজী ২০ হাজার ৫শ’ টাকা, আব্দুল হাকিম ৬ হাজার টাকা, রুহুল আমিন ৫ হাজার ৫শ’ টাকাসহ গ্রামের আরও অনেক বাসিন্দারা নওসের ও সুফিয়ার হাতে টাকা তুলে দেন। এরপর থেকে ঋণ না দিয়ে একের পর এক তালবাহানা শুরু করে নওসের ও সুফিয়া। কিন্তু কিছুদিন পর ওই সমিতি রাতারাতি উধাও হয়ে গেছে বলে নওসের ও সুফিয়া ভুক্তভোগীদের জানিয়ে দেন। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্তদের সাথে কথা বলতে গেলে ভুক্তভোগীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার শুরু করে নওসের ও তার স্ত্রী সুফিয়া খাতুন। কোন উপায়ন্তু না পেয়ে সোমবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগীরা।
দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ ওবায়দুল্লাহ বলেন, ভুক্তভোগীরা এ সংক্রান্তে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। তদন্ত করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানান ওসি।
খুলনা গেজেট/এমএনএস