সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার মাঘরী গ্রামে প্রতিপক্ষের হামলা ও মারপিটের ঘটনায় গুরুতর আহত বৃদ্ধা রোকেয়া বেগম(৬৫)মারা গেছেন। সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (১১ নভেম্বর) সকালে তিনি মারা যান। নিহত বৃদ্ধা রোকেয়া বেগম সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার মাঘরী গ্রামের আব্দুস সামাদের স্ত্রী। এঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নুর জাহান নামের এক মহিলাকে আটক করেছে পুলিশ।
এদিকে ঘটনার প্রতিপক্ষের হামলা ও একই পরিবারের চারজনকে পিটিয়ে জখমের ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়েরের চার দিন অতিবাহিত হলেও অজ্ঞাত কারনে এখনো মামলা দায়ের করা হয়নি।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে একটি তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শনিবার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় রোকেয়া বেগম, তার স্বামী আব্দুস সামাদ (৬৮), ছেলে শফিকুল ইসলাম (২৭) ও পুত্রবধূ আরিফা খাতুন (১৯) কে পিটিয়ে জখম করে প্রতিপক্ষ আব্দুস সালাম, তার দুই ছেলে সবুজ ও ইমরোজ, ভাই জামাত আলী এবং ভাইপো ইমাদুল ইসলাম। গুরুতর আহত অবস্থায় বৃদ্ধা রোকেয়া বেগমসহ তার পরিবারের চার সদস্যকে উদ্ধার করে সখিপুরস্থ দেবহাটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন স্থানীয়রা। আহতদের মধ্যে থেকে রোকেয়া বেগমের শারিরীক অবস্থার ক্রমশ অবনতি হতে থাকলে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার সকালে তিনি মারা যান।
এদিকে হামালার ঘটনার দিনই আহত বৃদ্ধা রোকেয়া বেগমের ছেলে সাইফুল ইসলাম বাদী হয়ে হামলাকারীদের বিরুদ্ধে দেবহাটা থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। কিন্তু অভিযোগ দায়েরের চারদিন অতিবাহিত হয়ে গেলেও অজ্ঞাত কারনে সেটি নিয়মিত মামলা হিসেবে রুজু হয়নি ।
দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার সাহা বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রোকেয়া বেগমের লাশ ময়না তদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। এঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নুর জাহান নামের এক মহিলাকে আটক করা হয়েছে। তবে এঘটনায় ভিকটিমের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় এখনো কোন অভিযোগ দেয়নি। লিখিত অভিযোগ পেলে সেটি হত্যা মামলা হিসাবে রুজু করা হবে। ঘটনার সাথে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারে পুলিশ অভিযান শুরু করেছে।
খুলনা গেজেট/কেএম