সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার জগন্নাথপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ চন্দ্র ঘোষের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। বীর মুক্তিযোদ্ধা সুভাষ চন্দ্র ঘোষ নিজে বাদি হয়ে শুক্রবার (২৮ জুন) রাতে অজ্ঞাতনামা ৬/৭ জনকে আসামি করে এই মামলা দায়ের করেন।
এদিকে শুক্রবার রাতে ডাকাতিকালে সুভাষ ঘোষের বাড়ি থেকে লুট হওয়া দো-নালা বন্দুকটি শনিবার (২৯ জুন) সকাল সাড়ে ৬টার দিকে তার বাড়ির প্রাচীরের ভিতরে ধানের গোলার পাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। গভীর রাতে ডাকাতদলের সদস্যরা সুযোগ বুঝে লুটকৃত আগ্নেয়াস্ত্রটি সুভাষ ঘোষের বাড়ির বাইরে থেকে প্রাচীরের মধ্যে ছুড়ে ফেলে দিয়ে গেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হলেও, রাতভর পুলিশি পাহারা ও গোয়েন্দা নজরদারির মধ্যে বেড়া টপকে কিভাবে আগ্নেয়াস্ত্রটি সেখানে ফেলে যাওয়া হয়েছে তা নিয়েও সন্দিহান আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী।
এবিষয়ে সুভাষ ঘোষ জানান, ডাকাতির ঘটনার পর শুক্রবার সকাল থেকে অধিক রাত পর্যন্ত পুলিশের উর্দ্ধতন কর্মকর্তারা তাদের বাড়িতে অবস্থান করেছেন। এমনকি তাদের বাড়িকে ঘিরে রাতভর আইনপ্রয়োগকারি সংস্থার লোকজনের কড়া নজরদারি ছিল। এরই মধ্যে কিভাবে ডাকাত দলের সদস্যরা লুট হওয়া বন্দুকটি বাড়ির মধ্যে রেখে গেলো তা তার বোধগম্য নয়।
দেবহাটা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সেখ মাহমুদ হোসেন লুট হওয়া আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধারের কথা স্বীকার করে বলেন, এঘটনায় থানায় একটি মামলা হয়েছে। পুলিশ আসামিদেও গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যহত রেখেছে। তবে শনিবার বিকাল পর্যন্ত পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
উল্লেখ্য, শুক্রবার রাত ২টার দিকে ৫/৭ জনের সংঘবদ্ধ একদল ডাকাত বীর মুক্তিযোদ্ধ সুভাষ ঘোষের বাড়িতে ঢুকে অস্ত্রের মুখে পরিবারের সদষ্যদের জিম্মি করে ৮ ভরি ওজনের স্বর্ণালঙ্কার, নগদ ৫ লাখ টাকা, একটি মোটর সাইকেল, কয়েকটি মোবাইল ফোন ও অন্যান্য মুল্যবান সম্পদের পাশাপাশি সুভাষ ঘোষের লাইসেন্সকৃত বেলজিয়ামের তৈরী একটি দো-নলা বন্দুক সহ ২০ লক্ষাধিক টাকার মালামাল লুট করে নিয়ে যায়।
খুলনা গেজেট/এএজে