চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলায় জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে দেবরের লাথিতে ভাবির মৃত্যু হয়েছে। নিহত শাহারন খাতুন(৩২) উপজেলার কে.ডি.কে ইউনিয়নের দেহাটী গ্রামের মোশারফ হোসেনের স্ত্রী। অভিযুক্ত দেবর সাহেব আলীকে(২৮) কে আটক করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, বেশ কিছু দিন ধরে ভিটে বাড়ির জমি নিয়ে মোশারফ হোসেন ও তার ছোট ভাই সাহেব আলীর সাথে বিরোধ চলছিল। এ ঘটনার জের ধরে শুক্রবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকাল সাড়ে ৩টার সময় শাহারন খাতুন ও সাহেব আলীর সাথে কথাকাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সাহেব আলী ভাবির তলপেটে লাথি মারলে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। স্থানীয়রা গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করে জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্রে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত শাহারনের মেয়ে মুসলিমা খাতুন অভিযোগ করে বলেন, ‘আমি আমার মায়ের সাথে ছিলাম। আমার মা আমাদের জমির জন্য আমার চাচাকে বললে চাচা সাহেব মাকে মারধর করে এক পর্যায়ে মা মাটিতে পড়ে গেলে এলাকার লোকজন ছুটে আসে তখন সে চলে যায়। আমার মাকে আমার চাচা মেরেছে।’
কে,ডি,কে ইউনিয়নের ১নং ওর্য়াড মেম্বার খাশিয়ার রহমান মিঠু বলেন, বেশ কিছু দিন ধরে ভিটে বাড়ির জমি নিয়ে মোশারফ হোসেন ও তার ছোট ভাই সাহেব আলীর সাথে বিরোধ চলছিল। মূলত জমি নিয়ে তাদের দুই ভায়ের মধ্যে দ্বন্দ।সেই কারণে গত শুক্রবার বিকালে শাহারন তার স্বামীর বাড়িতে যায় জমি দখল নেওয়ার জন্য এ সময় তাদের মধ্যে হাতাহাতির এক পর্যায় শাহারন অসুস্থ হয়ে পড়ে স্থানীয় লোকজন তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় সাহেব আলীকে পুলিশ আটক করেছে।
এদিকে পুলিশ ঘটনাটি জানার পর শনিবার দুপুরে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করেন।
জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল খালেক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, নিহত লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে এ বিষয় এখন ও পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি অভিযোগ পেলে তদন্ত পুর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খুলনা গেজেট/ এস আই