কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীতে দেওয়ালে আছড়ে উষা খাতুন নামে ৪০ দিনের কন্যা শিশুকে মেরে ফেলার অভিযোগ উঠেছে এক মায়ের বিরুদ্ধে। আজ বৃহস্পতিবার (০৩ মার্চ) সকালে শিশুটির মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের সাধুর মোড় ব্রহ্মতর গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে স্বপন মিয়ার সঙ্গে ইসলামাবাদ গ্রামের আব্দুল লতিফ মাস্টারের মেয়ে মোছা. জুই খাতুনের (২২) কয়েকবছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের কিছুদিন পর জুই খাতুনের মানসিক রোগ দেখা দেয়। এরপরও তাদের সংসার জীবন চলতে থাকে।
৪০ দিন আগে জুই খাতুনের কোলজুড়ে আসে একটি কন্যা সন্তান। কিন্তু বুধবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাবার বাড়িতে ঘরের দরজা বন্ধ করে জুই খাতুন তার শিশু কন্যাকে নিয়ে দেওয়ালে আছাড় দেন। এতে ঘটনাস্থলেই শিশুটি মারা যায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘাতক মা ও নিহত শিশুর মরদেহ থানায় নিয়ে আসে।
জুই খাতুনের স্বামী স্বপন মিয়া বলেন, আমার স্ত্রী জুই একজন মানসিক ভারসাম্যহীন রোগী। সে মাঝে মধ্যেই পাগলের মতো আচরণ করতো। তার চিকিৎসাও চলছে। কিন্তু বুধবার সন্ধ্যায় হঠাৎ করেই ঘরের দরজা বন্ধ করে দেওয়ালে আছড়ে সন্তানকে মেরে ফেলে।
বলদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. রুকুনুজ্জামান খান দুলালও ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন।
এ বিষয়ে কচাকাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহেদুল ইসলাম বলেন, নিহত শিশুর মরদেহ কুড়িগ্রাম সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। শিশুটির মা মানসিক ভারসাম্যহীন বলে আমরা জানতে পেরেছি। তবে ওই নারীকে থানায় নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। কেউ অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।