জনসমর্থন ‘না থাকায়’ ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ ‘অবাধ ও সুষ্ঠু’ নির্বাচনের মুখোমুখি হতে চায় না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন।
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি মিলনায়তনে শুক্রবার এক আলোচনাসভায় তিনি বলেন, “১৫ বছর এভাবে নির্বাচন প্রক্রিয়াকে তারা ধ্বংস করে একতরফা সাজানো নির্বাচন করেছে। এবার তারা একতরফা ভাগাভাগির নির্বাচনের পথে হাঁটছে।
“প্রতিদিন গণমাধ্যমে ভাগ-বাটোয়ারার খবর প্রকাশ হচ্ছে। কতটা দেউলিয়া হলে আওয়ামী লীগের মত একটি প্রাচীন রাজনৈতিক দল আজকে এই ধরনের ভাগাভাগি নির্বাচনের নীলনকশা ধরে এগোচ্ছে।”
বিজয় দিবস উপলক্ষে গণঅধিকার পরিষদের (রেজা কিবরিয়া) উদ্যোগে আয়োজিত এ আলোচনাসভায় অতিথি হয়ে এসেছিলেন বিএনপি নেতা মাহবুব।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ হবে আগামী ৭ জানুয়ারি। ভোটের সময় ঘনিয়ে এলেও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় সরকার ব্যবস্থা ফেরানো ও ক্ষমতাসীন সরকারের পদত্যাগের দাবিতে অনড় বিএনপি ও সমমনারা। নির্বাচনে না গিয়ে তারা দাবি আদায়ে হরতাল-অবরোধের কর্মসূচি পালন করছে।
অপরদিকে আওয়ামী লীগ ১৪ দলীয় জোটের শরিকদের পাশাপাশি অন্য দলগুলোকে নিয়েই নির্বাচনের সব প্রস্তুতি নিয়েছে। জোটের নেতৃত্বে থাকা দলটি শরিকদের কোন কোন আসনে চূড়ান্তভাবে ছাড় দেবে, তা নিয়েও আলোচনা চলছে।
আওয়ামী লীগের শরিকদের সঙ্গে এই আসন ভাগাভাগির প্রসঙ্গ টানেন বিএনপি নেতা মাহবুব উদ্দিন খোকন।
তিনি বলেন, “ভাগাভাগির নির্বাচনে আওয়ামী লীগ খান খান হয়ে যাবে।তারা নিজেরা নিজেরা ভাগাভাগি করে নিজেরা নিজেরা নির্বাচন নির্বাচন খেলা করবে, নিজেরা নিজেরা মারামারি করে শেষ হয়ে যাবে। এসব করে কোনো লাভ হবে না, সরকার পার পাবে না।”
কৌশল করে টিকে থাকা যাবে না মন্তব্য করে এই বিএনপি নেতা বলেন, “যত কৌশল করুক না কেন, আওয়ামী লীগ সরকারকে চলে যেতে হবে। এই আন্দোলন জনগণের আন্দোলন; বিএনপির আন্দোলন নয়, গণঅধিকার পরিষদের আন্দোলন নয় বা কোনো রাজনৈতিক দলের একক আন্দোলন নয়। এটা ভোটাধিকার ফিরে পাবার আন্দোলন।
“৭ জানুয়ারি নির্বাচন নিয়ে জনগণের মধ্যে কোনো উৎসাহ নেই। এই নির্বাচন করে তারা শেষ রক্ষা পাবেন না। জনগণের বিরুদ্ধে গিয়ে কোনো স্বৈরাচারই টিকতে পারেনি, শেখ হাসিনাও টিকতে পারবে না।”
অন্যদের মধ্যে জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার, গণঅধিকার পরিষদের (রেজা কিবরিয়া) ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব ফারুক হাসান, ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের ববি হাজ্জাজ, এবি পার্টির মজিবুর রহমান মঞ্জু, গণফোরাম নেতা অ্যাডভোকেট মহসিন রশিদ আলোচনাসভায় বক্তব্য দেন।