শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে উপকূলীয় এলাকায় টহল ও নজরদারি বৃদ্ধি করেছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড। তারই ধারাবাহিকতায় উপকূলীয় ২৯৯ পূজা মণ্ডপের নিরাপত্তা দেবে কোস্ট গার্ড। পাশাপাশি যেকোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকবেন তারা।
বৃহস্পতিবার (৩ অক্টোবর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে কোস্ট গার্ড সদর দপ্তরে আয়োজিত বাহিনীর স্টাফ অফিসার (অপারেশনস) লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. সালমান এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, সম্প্রতি দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হলে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড সরকারি গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাগুলোর পাশাপাশি বিভিন্ন ধর্মীয় উপাসনালয় রক্ষার গুরুদায়িত্বে নিয়োজিত ছিল। এরই ধারাবাহিকতায় সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী উপকূলীয় অঞ্চলে বসবাসরত হিন্দুধর্মাবলম্বীদের শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে ধর্মীয় উপাসনালয়সহ পূজা মণ্ডপের সার্বিক নিরাপত্তায় কাজ করছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।
সালমান সিদ্দিকী জানান, উপকূলীয় এলাকার মধ্যে কোস্ট গার্ড ঢাকা জোন ৩৭টি, পশ্চিম জোন (মোংলা) ১৩০টি, পূর্ব জোন (চট্টগ্রাম) ৫০টি, ও দক্ষিণ জোন (ভোলা) ৮২টিসহ সর্বমোট ২৯৯টি মন্দির ও পূজা মণ্ডপের সার্বিক নিরাপত্তায় দায়িত্ব পালন করছে।
তিনি বলেন, দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে দেশের চলমান পরিস্থিতিতে যেকোনো ধরনের নাশকতা থেকে জনগণের জানমাল এবং উপাসনালয় রক্ষা করা ও যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় প্রস্তুত আছে বাংলাদেশ কোস্ট গার্ড।
সালমান বলেন, প্রতিমা বিসর্জনের দিন অতিউৎসাহী জনগণকে ধারণক্ষমতার অতিরিক্ত নৌযানে ওঠা থেকে বিরত রাখা, নৌযানে অবস্থানরত অবস্থায় সবার লাইফ জ্যাকেট পরিধান নিশ্চিত করা এবং সাঁতার না জানা ব্যক্তিকে নৌযানে না ওঠার পরামর্শ দেওয়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে জনসচেতনতামূলক প্রচারণার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে কোস্ট গার্ড।
কোস্ট গার্ডের এই কর্মকর্তা বলেন, এছাড়াও প্রতিমা বিসর্জনের স্থানে নৌকাডুবির মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় উদ্ধারের নিমিত্তে কোস্ট গার্ডের বিশেষ ডুবুরিদল সর্বদা প্রস্তুত থাকবে। কোস্ট গার্ডের এ ধরনের জননিরাপত্তামূলক কার্যক্রম ১ অক্টোবর থেকে প্রতিমা বিসর্জনের দিন পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
খুলনা গেজেট/এএজে