গভীর রাতে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ঘরে ঢুকে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন ইউএনও ওয়াহিদা খানম ও তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা ওমর আলী। আহত অবস্থায় ইউএনওকে প্রথমে রংপুরের ডক্টরস হাসপাতালে ভর্তি করা হলে তার অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে আইসিইউতে রাখা হয়। আর তার বাবাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত ইউএনওকে উন্নত চিকিৎসার জন্য এয়ার এ্যাম্বুলেন্সে ঢাকায় আনা হচ্ছে। ঘটনা তদন্তে সাত সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাত ৩টার দিকে তাদের নিজ ঘরে হামলা চালিয়ে আহত করে দুস্কৃতকারীরা। ঘটনার খবর পেয়ে সকালে দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম ও পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেনসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়েছেন।
দিনাজপুরের জেলা প্রশাসক মাহমুদুল আলম জানান, আনুমানিক রাত ৩টার দিকে ঘরের ভেন্টিলেটর দিয়ে এক যুবক প্রবেশ করে। প্রথমে ওই যুবক তার বাবাকে আহত করে পাশের ঘরে আটকে রাখে। পরে ওয়াহিদা খানমের ওপর হামলা চালায়। এলোপাতাড়িভাবে তাকেও হাতুড়ী পেটা করে পালিয়ে যায়।
রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের নিউরো সার্জারির বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক তোফায়েল হোসেন ভুইয়া জানান, ওয়াহিদা খানমকে ভারি ধাতব পদার্থ দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। এতে তার মাথার বাম পাশের হাড় ফেটে বসে গেছে। এ কারণে তার শরীরের ডান অংশ প্যারালাইজড হয়ে গেছে। এছাড়া মাথার ভিতরে রক্ত জমাট বেঁধেছে বলেও জানান চিকিৎসক। তবে, তাৎক্ষণিকভাবে ওষুধ দিয়ে তার জ্ঞান ফেরানো হয়েছে।
এদিকে, কারা এবং কী কারণে এ হামলা চালিয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী। র্যাব-১২ অধিনায়ক রেজা আহমেদ জানান, কারা কী কারণে হামলা করেছে তা তদন্ত করে বের করা হবে।