দুর্নীতির মামলায় বাগেরহাট পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমান ও সাবেক পৌর সচিব কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোঃ রবিউল ইসলাম। বুধবার দুপুরে জেলা ও দয়রা জর্জ আদালতে আসামীরা আত্মসমর্পণ করলে দীর্ঘ শুনানী শেষে বিচারক তাদের জামিনের আবেদ নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আদালতে আসামিপক্ষে সুপ্রিমকোর্টের আপিল বিভাগের আইনজীবী নকীব সাইফুল ইসলাম, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি একে আজাদ ফিরোজ টিপুসহ শতাধিক আইনজীবী উপস্থিত ছিলেন। দুদকের পক্ষে আইনজীবী ছিলেন মিলন কুমার ব্যানার্জি।
ইতোপূর্বে এ মামলায় আগাম জামিন চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করলে বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তাদেরকে তিন সপ্তাহের মধ্যে নিম্নআদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, অবৈধ নিয়োগ ও প্রকল্প বাস্তবায়ন না করে সরকারি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমান ও সাবেক পৌর সচিব রেজাউল করিমের নামে গত বছরের ২৫ নভেম্বর মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। খুলনা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ বাদী হয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে পৃথক দুটি মামলা দায়ের করেন।
এর আগে ২০২০ সালের ৭ অক্টোবর বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমানের দুর্নীতি অনুসন্ধানে নামে দুদকের খুলনা কার্যালয়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, বাগেরহাট পৌরসভায় নিয়ম বহির্ভূতভাবে ১৭ জনকে নিয়োগ দিয়ে সরকারি কোষাগার থেকে এক কোটি ২৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮০০ টাকা আত্মসাতের অপরাধে মেয়রসহ ১৮ জনকে আসামি করে একটি মামলা করা হয়।
অন্যদিকে প্রশিক্ষণ কেন্দ্রসহ বাগেরহাটে আবাহনী ক্লাবের কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ এবং বাগেরহাট ডায়াবেটিক হাসপাতাল কমপ্লেক্স ভবন নির্মাণ প্রকল্পের কাজ না করে এক কোটি টাকা উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগে পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমান এবং বাগেরহাট পৌরসভার সাবেক সচিব মোহাম্মদ রেজাউল করিমকে আসামি করে আরও একটি মামলা করা হয়।
এদিকে বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমানের জামিন নামঞ্জুর করায় তার সমর্থকরা বাগেরহাট-খুলনা মহাসড়ক অবোরোধ করে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়।
খুলনা গেজেট/এনএম