২০ ওভারের বোলিং শেষে স্কোরকার্ডের দিকে তাকিয়ে বাংলাদেশ তৃপ্তি পেতেই পারে। নারীদের ক্রিকেটে বড় দলের তকমা পাওয়া ইংল্যান্ডকে শারজাহতে নিয়ন্ত্রণেই রেখেছে বাংলাদেশ। পুরো ইনিংসের পর্যালোচনায় দুই ক্যাচ মিস বাদ দিলে ইতিবাচক কিছুই খুঁজে পাবে বাংলাদেশের মেয়েরা। নাহিদা আক্তার, রিতু মনি আর ফাহিমা খাতুনদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে সময়টা খারাপ কাটেনি বাংলাদেশের।
টাইগ্রেসদের এমন বোলিংয়ের পরেও শারজাহর স্লো পিচে ইংল্যান্ডের মেয়েরা তুলেছে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৮ রান। ২০২৪ সালের নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে টানা দ্বিতীয় জয় তুলে নিতে নিগার সুলতানার দলের দরকার ১১৯ রান।
ইনিংসের প্রথম বল থেকেই বাংলাদেশের বোলারদের পারফরম্যান্স ছিল চোখে পড়ার মতোই। শুরুর ওভারে মারুফার একের পর এক ইনসুইং ডেলিভারি বিপাকে ফেলেছিল ইংলিশ ওপেনার মায়া বুচারকে। অপরপ্রান্তে টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের সেরা স্পিনার নাহিদা আক্তার। দুই বোলারের শুরুটা ভাল হলেও ধীরে ধীরে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে ফেলেন মায়া বুচার ও ড্যানি ওয়াট।
মায়ার ক্যাচ মিস করেছিলেন রাবেয়া। তা না হলে উদ্বোধনী জুটির লাগাম টানা যেত আরও আগেই। তবে সেখান থেকে বেশি ভুগতে হয়। সেই রাবেয়ার বলেই নাহিদার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন ২৩ রান করা এই ওপেনার। এরপর থেকে আর কোনো জুটিকেই বড় হতে দেয়নি বাংলাদেশের স্পিনাররা। ন্যাট সিভার ব্রান্টকে ২ রানের মাথায় ফেরান এলবিডব্লিউতে।
ইংলিশ অধিনায়ক হিথার নাইট ফিরেছেন রিতু মনির দুর্দান্ত ডেলিভারিতে। ইনসুইং বলে হিথার মিস করেছেন বল। বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি। খানিক পরেই ড্যানি ওয়াটকে ফেরান নাহিদা। বাধ্য করেছিলেন পপিং ক্রিজ ছেড়ে বেরিয়ে আসতে। উইকেটের পেছনে জ্যোতি করেছেন স্ট্যাম্পিং। আগের দিনের হতাশা ভুলে জ্যোতির দিন আজ ভালোই কেটেছে।
উইকেটের পেছনে গিবসনের ক্যাচ আর চার্লি ডিনের স্ট্যাম্পিং করেছেন। অধিনায়ক হিসেবে দলকে রেখেছেন উজ্জীবিত। শেষ দুই বলে ৮ রান না উঠলে বাংলাদেশের আক্ষেপ আরও খানিকটা কমই হতো।
খুলনা গেজেট/কেডি