কাতার বিশ্বকাপে ‘এইচ’ গ্রুপে নিজেদের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হয় পর্তুগাল ও ঘানা। ম্যাচটির প্রথমার্ধ ছিল গোলহীন। তবে দ্বিতীয়ার্ধে দুই দলই মরিয়া হয়ে ওঠে গোলের জন্য। তাইতো শেষার্ধে আসে পাঁচটি গোল। যেখানে তিনটি গোল করে রোনালদোর পর্তুগাল। বাকি দুইটি ঘানার। শেষ পর্যন্ত ৩-২ গোলের জয় দিয়ে বিশ্বকাপ মিশন শুরু করে পর্তুগাল।
ম্যাচের প্রথম গোলটি আসে রোনালদোর পা থেকে। ম্যাচের ৬৫ মিনিটের মাথায় পেনাল্টি থেকে গোল করেন এই তারকা। সে সঙ্গে গড়েন বিশ্বরেকর্ডও। ফুটবল ইতিহাসে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে টানা পাঁচ বিশ্বকাপ আসরে আসরে গোল করার রেকর্ড গড়েন রোনালদো। ২০০৬ বিশ্বকাপ থেকে শুরু করে ২০২২ চলমান বিশ্বকাপ পর্যন্ত প্রতিটি আসরেই গোল রয়েছে এই পর্তুগীজ সুপারস্টারের।
বৃহস্পতিবার (২৪ নভেম্বর) ৯৭৪ স্টেডিয়ামে ম্যাচের ১০ মিনিটের মাথায় আক্রমণে যায় পর্তুগাল। এ সময় বার্নার্দো সিলভার সামনে বলের নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেন ঘানার মোহাম্মদ কুদ্দুস। সিলভা পাস দেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোকে, সিআরসেভেনের শট ফিরিয়ে দেন ঘানার গোলরক্ষক লরেন্স আটি-জিগি। দুই মিনিট পর সুবর্ণ সুযোগ এসেছিল পর্তুগিজ সুপারস্টারের সামনে। বাম প্রান্ত থেকে ভেসে আসা বলে লাফিয়ে উঠে হেডও করেন তিনি, কিন্তু সেই হেডার চলে যায় পোস্টের অনেকটা বাইরে দিয়ে।
রোনালদো ঘানার জালে বল জড়ান ম্যাচের ৩০ মিনিটের মাথায়। জোয়াও ফেলিক্সের দারুণ এক পাসে বল পেয়ে যান তিনি। কিন্তু সেই মুহূর্তে ঘানার রক্ষণভাগের এক খেলোয়াড়কে ফেলে দেন রোনালদো। ফলে রেফারি সেই গোল বাতিল করে দেন। রোনালদোর চোখেমুখে তখন রাজ্যের হতাশা। ঘানা প্রথম আক্রমণ করে ম্যাচের ৩৬ মিনিটে। পর্তুগাল সেই আক্রমণ সামাল দেয় কর্নারের বিনিময়ে।
বিরতির আগে আগে ঘানার গোলরক্ষকের সামনে বল পেয়েছিলেন রোনালদো। ব্রুনো ফার্নান্দেজের পাসে বল ফেলিক্সের গায়ে লেগে রোনালদোর কাছে আসে। কিন্তু জুতসই শট নিতে পারেনিনি তিনি। ফলে বৃথাই যায় গোলের সে প্রচেষ্টা। বিরতি থেকে ফেরার ৯ মিনিট পর দারুণ এক পাসে বল পেয়ে গোলের সম্ভাবনাই তৈরি করতে পারেননি রোনালদো। সেই বলেই কাউন্টার অ্যাটাকে উঠে ঘানা। মোহাম্মদ কদ্দুসের দুর্দান্ত শটটি গোলপোস্টের হাত দেড়েক বাইরে দিয়ে যাওয়ায় উদযাপনের উপলক্ষ হারায় আফ্রিকার দেশটি।
৬৪ মিনিটে ঘানার ডি বক্সের ভেতর রোনালদোকে ফেলে দেন মোহাম্মদ সালিসু। ফলে পেনাল্টি পায় পর্তুগাল, সেখান থেকে দলকে লিড এনে দেন সময়ের সেরা ফুটবলার। বিশ্বকাপে এটি তার অষ্টম গোল। মিনিট দশেক পর কাউন্টার অ্যাটাক থেকে ম্যাচে সমতায় ফেরে ঘানা। পরের সাত মিনিটে আরও দুবার জালের দেখা পায় পর্তুগাল। এর একটি গোল করেন জোয়াও ফেলিক্স ও অন্যটি রাফায়েল লেয়াও। দুটি গোলেই অ্যাসিস্ট করেন ব্রুনো ফার্নান্দেজ।