নির্ধারিত চালকের পরিবর্তে হেলপার দিয়ে ভাড়ায় চালানোর সময় সড়ক দুর্ঘটনায় পতিত হয়ে ভেঙ্গে দুমড়ে মুচড়ে গেছে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি সরকারি এ্যাম্বুলেন্স। সেমাবার (৫সেপ্টেম্বর) বিকাল ৪টার দিকে তালা উপজেলার মদনপুর এলাকায় এঘটনা ঘটে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ (সামেক) হাসপাতালের সরকারি এ্যাম্বুলেন্স (ঢাকা মেট্রো ছ-৭১-৩০০০) চালক বশির উদ্দিন (বশির) এর নামে বরাদ্দ। নিয়ম অনুযায়ি তাকে এই গাড়ি চালানোর কথা। কিন্তু তিনি ওই এ্যাম্বুলেন্সটি না চালিয়ে তার হেলপার হাসানকে দিয়ে চালিয়ে থাকেন। তাকে কখনো ওই গাড়ি চালাতে দেখা যায়নি।
এছাড়া সরকারি এই এ্যাম্বলেন্সে করোনা রোগি, পয়জনিং রোগি, গ্যাংগেরিং রোগি ও মরদেহ বহন করা নিষেধ। কিন্তু বশির মোটা অংকের অর্থের বিনিময় তার হেলপারকে দিয়ে সব ধরনের রোগি এই এ্যাম্বলেন্সে পরিবহণ করে থাকেন। ঘটনার দিন সামেক হাসপাতালের চালক বশিরের হেলপার হাসান সাতক্ষীরা থেকে একটি মরদেহ ওই এ্যাম্বলেন্সে করে তালায় নিয়ে যায়। সেখান থেকে ফিরে আসার পথে দ্রুত গতিতে চালিয়ে আসার সময় তালা উপজেলার মদনপুর এলাকায় নিয়ন্ত্রন হারিয়ে এ্যাম্বুলেন্সটি সড়কের পাশে একটি গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে দুমড়ে মুচড়ে পাশের ডোবায় পড়ে যায়। এঘটনায় গুরুতর আহত হয় হেলপার হাসান। গোপনে তাকে সামেক হাসপাাতলে ভর্তি করা হয়। বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর মঙ্গলবার রাতে তাকে সামেক হাসপাতাল থেকে লাবসায় নিজ বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হয়।
এবিষয় জানার জন্য যোগাযোগ করা হলে সামেক হাসপাতালের এ্যাম্বুলেন্স চালক বশির দুর্ঘটনার কথা স্বীকার করে বলেন, হাসান সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একজন স্বেচ্ছাসেবক চালক। ওই দিন একটি রোগি খুলনায় নামিয়ে দিয়ে ফেরার পথে দুর্ঘটনা ঘটে। কোন মরদেহ নেয়া হয়নি। সামেক হাসপাতালের সব এ্যাম্বুলেন্স দেখভাল করার দায়িত্ব তার উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, লোক না থাকলে আমি নিজেও মাঝে মধ্যে গাড়ি চালাই।
এবিষয় সামেক হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডাঃ আব্দুল্লাহ আল মারুফ জানান, লোকবল কম থাকায় হাসান নামের একজন স্বেচ্ছাসেবক চালক দিয়ে গাড়িটি চালানো হচ্ছিল। তবে কি কারণে দুর্ঘটনা ঘটেছে তার তদন্ত করে দেখা হবে।
খুলনা গেজেট/