ভোলায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলমসহ দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় জেলা বিএনপির ডাকা সকাল-সন্ধ্যা হরতাল চলছিল। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হওয়া এ হরতাল সন্ধ্যা পর্যন্ত চলার কথা ছিল। তবে জনভোগান্তি বিবেচনায় সকাল-সন্ধ্যার কর্মসূচি আধাবেলা পালনের সিদ্ধান্ত নেয় জেলা বিএনপি। সেই মোতাবেক দুপুর ১২টার সময় হরতাল প্রত্যাহার করা হয়।
জেলা বিএনপির সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর দুপুর ১২টা বাজার ৫ মিনিট আগেই হরতাল প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন। এর আগে বিএনপির কেন্দ্রীয় ১৩ নেতার উপস্থিতিতে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে শুরু হয় এ হরতাল।
বৃহস্পতিবার ভোরে সদর রোড এলাকায় দোকানপাট খোলেনি। দু-একটি রিকশা চলতে দেখা যায়। ভোরে বৃষ্টি হওয়ায় ওই সময় রাস্তায় নামতে পারেনি তারা। পরে বৃষ্টি কমে গেলে রাস্তায় অবস্থান করেন বিএনপি নেতাকর্মীরা। এর আগে তারা রাস্তায় টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে স্লোগান দেন তারা।
ঢাকা থেকে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অব) হাফিজ উদ্দিনের নেতৃত্বে ১৩ জনের একটি টিম ভোলায় পৌঁছান। তারা আজ নিহতদের বাড়ি যাবেন। এ ছাড়া গত রোববারের সংঘর্ষে অভিযুক্তদের বিষয় অনুসন্ধান করবেন বলেও জানান জেলা বিএনপি সভাপতি গোলাম নবী আলমগীর।
এর আগে বুধবার বেলা ৩টা ১০ মিনিটে রাজধানীর গ্রিন রোডের কমফোর্ট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মারা যান নুরে আলম।
প্রসঙ্গত, গত রোববার বেলা ১১টার দিকে ভোলায় জেলা বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে দলীয় বিক্ষোভ কর্মসূচির শুরুতে পুলিশ বাধা দিলে সংঘর্ষ শুরু হয় এবং এতে স্বেচ্ছাসেবক দলের কর্মী আব্দুর রহিম মারা যান ও ৩০ জন আহত হন। আব্দুর রহিম সদর উপজেলার দক্ষিণ দীঘলদি ইউনিয়নের কোড়ালিয়া গ্রামের বাসিন্দা।