আগামী ১২ ও ১৩ আগস্ট স্বাস্থ্য অধিদফতরের সাবেক মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আবুল কালাম আজাদকে তলব করেছে দুদক।
এছাড়াও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রাক্তন পরিচালক ডা. মো. আমিনুল হাসান, উপপরিচালক মো. ইউনুস আলী, ডা. মো. শফিউর রহমান ও গবেষণা কর্মকর্তা ডা. মো. দিদারুল ইসলঅমকে আগামী ১২ আগস্ট তলব করা হয়েছে।
সরকারি মেডিকেল ও কলেজ হাসপাতালের জন্য পিপিই, মাস্ক ও মেডিকেল সামগ্রী ক্রয়ে দুর্নীতি এবং প্রতারক সাহেদের রিজেন্ট হাসপাতালের অনুমোদনসহ অনিয়মের ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাকে তলব করা হলো। ৬ আগস্ট বৃহস্পতিবার দুদকের পরিচালক মীর মো. জয়নুল আবেদীন শিবলী ও শেখ মো. ফানাফিল্লাহর স্বাক্ষরে এই নোটিশ পাঠানো হয়।
মীর মোঃ জয়নুল আবেদীন শিবলী স্বাক্ষরিত পত্রে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদফতর ও সিএমএসডি-এর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা/কর্মচারীদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতির গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। তারা ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কোভিড-১৯ এর চিকিৎসার সামগ্রি,নিম্নমানের মাস্ক, পিপিই ও অন্যান্য স্বাস্থ্য সরঞ্জামাদি ক্রয়সহ বিভিন্ন হাসপাতালে সরবরাহের নামে একে অন্যের যোগসাজশে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। তাদের অনেকের বিরুদ্ধেই অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগও রয়েছে। এসব অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে আবুল কালাম আজাদের বক্তব্য গ্রহণের জন্য তলব করা হয়।
অতীব জরুরি এই পত্রে, তাকে আগামী ১২ আগস্ট দুদকে হাজির হয়ে বক্তব্য প্রদানের অনুরোধ করা হয়। পত্রে আরো বলা হয়, নির্ধারিত সময়ে হাজির হয়ে বক্তব্য প্রদানে ব্যর্থ হলে বর্ণিত অভিযোগ সংক্রান্ত বিষয়ে তার কোন বক্তব্য নেই মর্মে গণ্য করা হবে।
অপরদিকে দুদক পরচিালক শেখ মো. ফানাফিল্যা স্বাক্ষরিত পত্রে আগামী ১৩ আগস্ট অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদকে তলব করা হয়েছে। এই পত্রে বলা হয়, রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান সাহেদ ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে জনসাধারণের সঙ্গে প্রতারণা করে করোনা সনদ দেয়ার নামে কোটি কোটি টাকা সংগ্রহ করার অভিযোগ রয়েছে। সাহেদসহ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে দুদকে চলমান অনুসন্ধানের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাকে (জনাব আবুল কালাম আজাদ) তলব করা হয়েছে।