খুলনা, বাংলাদেশ | ৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ডেঙ্গুতে একদিনের ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১ হাজার ২১৪

দুদকের মামলায় বাগেরহাট পৌরসভার ১৫ কর্মচারী কারাগারে

নিজস্ব প্রতিবেদক,বাগেরহাট

অবৈধভাবে নিয়োগ নিয়ে সরকারি টাকা তছরুপের অভিযোগ দুদকের করা মামলায় বাগেরহাট পৌরসভার ১৫ কর্মচারী কারাগারে প্রেরণ করেছে আদালত। রবিবার দুপুরে আদালতে হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আসামিদের জামিন না মঞ্জুর করে জেলা ও দায়রা জজ মো. আশরাফুল ইসলাম আসামিদের কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।

আসামিরা হলেন- দিপু দাস (পাম্প অপারেটর), আসাদুজ্জামান (বাজার শাখার আদায়কারী), জ্যোতি দেবনাথ (সহকারী লাইসেন্স পরিদর্শক), মারুফ বিল্লাহ (সহকারী কর আদায়কারী), বালী শফিকুল ইসলাম (সহকারী কর আদায়কারী), শারমিন আক্তার বনানী (বিল ক্লার্ক, পানি শাখা), মো. হাচান মাঝি (ট্রাক চালক), হাসনা আক্তার (সুইপার সুপারভাইজার), মো. জিলানী (সুইপার সুপারভাইজার), তানিয়া (এমএলএসএস), অর্পূব কুমার পাল (পাম্প চালক), নিতাই চন্দ্র সাহা (পাম্প চালক), মোহাম্মদ মেহেদী হাসান (সহকারী পাম্প চালক), সাব্বির মাহমুদ (সহকারী কর আদায়কারী), পারভিন আক্তার (সহকারী কর আদায়কারী) । তারা সবাই পৌরসভার কর্মী ছিলেন।

মামলা সূত্রে জানাযায়, ২০১৭ সালে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি না দিয়ে এবং স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ বিধি না মেনে বাগেরহাট পৌরসভার পাম্প অপারেটরসহ বিভিন্ন পদে মোট ১৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়। পৌর কর্তৃপক্ষ ও নিয়োগপ্রত্যাশীদের যোগশাযোগে এই অবৈধ নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। অবৈধ নিয়োগ প্রাপ্তরা ২০১৭ সালের ৩০ মার্চ থেকে ২০২০ সালের ২৫ জুলাই পর্যন্ত বেতনভাতা-বাবদ সরকারের এক কোটি ২৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮৫৩ টাকা তসরুপ করেন। এ ঘটনায় ২০২১ সালের ২৫ নভেম্বর দুদকের সহকারী পরিচালক তরুণ কান্তি ঘোষ বাদী হয়ে বাগেরহাট পৌর মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক খান হাবিবুর রহমানসহ ১৮ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। দীর্ঘ তদন্ত শেষে দুদক চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি আদালতে তদন্ত প্রতিবেদন পেশ করেন। আদালত ২৬ জুন চার্জশীট অনুমোদন করেন।

এই মামলায় বাগেরহাট পৌর মেয়র খান হাবিবুর রহমান উচ্চ আদালতের জামিনে রয়েছেন।

দুদকের আইনজীবী মিলন কুমার ব্যানার্জি বলেন, পৌরসভার টাকা মানে সরকারের টাকা। পৌর কর্তৃপক্ষ ও নিয়োগপ্রত্যাশীরা যোগশাযগে নিয়োগ নিয়ে অবৈধভাবে ১ কোটি ২৬ লাখ ৮৮ হাজার ৮৫৩ টাকা তছরুপ করেছেন। যা অনুযায়ী অবৈধ। এজন্য তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। আসামিরা হাজির হয়ে জামিন প্রার্থনা করলে আদালত তাদের জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের আদেশ দেন।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!