জেলা পরিষদ নির্বাচনে নেত্রকোনা জেলার দুর্গাপুর উপজেলায় সাধারণ সদস্য (১নং ওয়ার্ড) পদে দূর্গাপুর পৌর মেয়র আলাউদ্দিন আলালের দুই স্ত্রী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন একই পদে। তাতে মেয়রের বড় স্ত্রী হেরে গেছেন ছোট স্ত্রীর কাছে।
নির্বাচনী ফলাফলে ছোট সতীন সুরমী আক্তার সুমী অটোরিকশা প্রতীক নিয়ে ৫৫ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। বড় সতীন আনোয়ারা বেগম তালা প্রতীকে ভোট পেয়েছেন মাত্র ৪টি। একই পদে আরও দু’জন পুরুষ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে পরাজিত হয়েছেন। সোমবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে ২টা পর্যন্ত ভোট গ্রহণ ও গণনা শেষে এ ফলাফল ঘোষণা করেন দূর্গাপুর ১নং ওয়ার্ডের প্রিসাইডিং অফিসার শিমু দাস।
জানা গেছে, দুই সতীন আনোয়ারা বেগম ও সুরমী আক্তার সুমীর স্বামী দুর্গাপুর পৌরসভার মেয়র মো. আলাউদ্দিন আলাল। তিনি দীর্ঘদিন ধরে অসুস্থ অবস্থায় ঢাকায় চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এরই মধ্যে জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১নং ওয়ার্ডে ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ হন ওই দুই সতীন।
এদিকে বিজয়ী সুরমী আক্তার সুমি বলেন, জেলা পরিষদের নির্বাচনকে সামনে রেখে আমার স্বামী অনেক আগে থেকেই কাজ করে আসছিলেন। তাছাড়া পারিবারিক সিদ্ধান্তেই আমি নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। কিন্তু মেয়রের সুনাম নষ্ট করার উদ্দেশে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ আনোয়ারা বেগমকে প্রার্থী করেছিল।
তিনি আরও বলেন, আমি যখন অসুস্থ স্বামীকে নিয়ে হাসপাতালে। এ অবস্থায় আমার স্বামীর পরিবারের সদস্যদের পাশাপাশি সব আত্মীয়-স্বজন ও পৌর কাউন্সিলগণ আমার পক্ষে মাঠে কাজ করেছেন। ভোটারাও আমার সম্পর্কে এবং আমার স্বামীর সিদ্বান্তের কথা জানতেন। সকলের সহযোগিতার কারণেই আমি বিজয়ী হতে পেরেছি।
অপরদিকে পরাজিত আনোয়ারা বেগম বলেন, আমার স্বামী তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে থাকেন। আর আমি আলাদা থাকি। ওই মহিলা যা বলেন তিনি তাই করেন। তার স্ত্রী হিসেবে আমিও দীর্ঘদিন ধরে রাজনৈতিক কর্মকান্ডের সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু আমি যখনই কোনো পদ-পদবিতে যেতে চাইতাম তখনই অপর পক্ষ থেকে বাধা আসতো। আমারও কিছু কর্মী-সমর্থক ছিল। তারা আমাকে জেলা পরিষদের সদস্য হিসেবে দেখতে চেয়েছিল। তাই তাদের সমর্থনে আমি প্রার্থী হয়েছিলাম।
পৌর মেয়র আলাউদ্দিন আলালের ব্যবসায়িক সহযোগি ধনেশ পত্রনবীশ জানান, পৌরসভার মেয়র আলাউদ্দিন আলাল বেশকিছুদিন ধরে গুরুতর অসুস্থ। তিনি ঢাকার শ্যামলীতে বাংলাদেশ স্পেশালাইজড হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ছোট স্ত্রী সুরমী আক্তার সুমির প্রতি আলাল সাহেবের পূর্ণ সমর্থন ছিল। কিন্তু বড় স্ত্রী আনোয়ারা বেগমকে অনেক মানা করেও নির্বাচন থেকে থামাতে পারেননি।