রাশিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে পূর্ব ইউক্রেনের রুশ অধ্যুষিত দুটি অঞ্চলের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দিয়েছে। এর কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পূর্ব ইউক্রেনে ‘শান্তি বজায় রাখতে’ সেনা পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে রাশিয়া। এ ছাড়া দেশটি ইতোমধ্যে দুই লাখ সেনা দিয়ে কার্যত ইউক্রেনকে ঘিরে ফেলেছে। বেলারুশেও রেখেছে সেনা মোতায়েন।
বিবিসি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ পরিস্থিতিতেও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘ইউক্রেন শান্তি চায় এবং সমস্যার রাজনৈতিক ও কূটনৈতিক নিষ্পত্তি সমর্থন করে।’ তবে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ইউক্রেনীয়রা ভীত নয়।
রাশিয়ার এই আগ্রাসী কর্মকাণ্ডে ইউক্রেন তার আন্তর্জাতিক মিত্রদের থেকে ‘স্পষ্ট ও কার্যকর’ পদক্ষেপ প্রত্যাশা করে।
মঙ্গলবার ভোরে জাতির উদ্দেশে দেয়া এক ভাষণে তিনি বলেছেন, রুশ ফেডারেশনের পদক্ষেপ ইউক্রেনের অখণ্ডতা ও সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন। রাশিয়ার বক্তব্য যাই হোক না কেন, ইউক্রেনের আন্তর্জাতিক সীমানা বজায় থাকবে।
রাশিয়ার এ কর্মকাণ্ডে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র বলছে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের ঘোষণাটি ‘ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব এবং আঞ্চলিক অখণ্ডতার বিনা প্ররোচনায় লঙ্ঘন’ এবং এ ঘটনায় জাতিসংঘ ইউক্রেনের জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকের ডাককেও সমর্থন করেছে দেশটি।
ইউক্রেনের সর্বশেষ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় ইতোমধ্যে নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠক চলছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যসহ পশ্চিমা বিশ্ব রাশিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে।
এর আগে সোমবার রাশিয়ার নিরাপত্তা কাউন্সিলের অনির্ধারিত এক বৈঠক শেষে ক্রেমলিন পূর্ব ইউক্রেনের দুই অঞ্চল দোনেৎস্ক ও লুগানস্ককে স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে স্বীকৃতি দেয়।
পূর্ব ইউক্রেনের বিচ্ছিন্নতাবাদী দোনেৎস্ক ও লুগানস্ক অঞ্চলের বিদ্রোহী নেতারা পুতিনের কাছে তাদের স্বাধীন হিসেবে স্বীকৃতি দেয়ার আবেদন করার পর এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
ফোনালাপে ফরাসি ও জার্মান রাষ্ট্রপ্রধানকে এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছিলেন পুতিন।
এর আগে ২০১৪ সালে ইউক্রেন থেকে ক্রিমিয়া ছিনিয়ে নিয়ে নিজেদের মূল ভূখণ্ডে যুক্ত করে রাশিয়া। সে সময় থেকেই পূর্ব ইউক্রেনে সংঘাত চলছে। ইউক্রেন সেনা ও মস্কো সমর্থিত বিদ্রোহীদের সংঘাতে এ পর্যন্ত ১৪ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। দেশত্যাগ করতে বাধ্য হয়েছেন আরও কয়েক লাখ।
খুলনা গেজেট/ এস আই