দেশের গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশ নেয়া দুই বাম পন্থী রাজনৈতিক দলের একীভূত সভা শুক্রবার বিকেলে নগরীর বানরগাতী এলাকায় অনুষ্ঠিত হবে। তাদের দু’দলের মধ্যে প্রথম সমঝোতা বৈঠক খুলনায় অনুষ্ঠিত হবে।
ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র শক্তির অবসান ঘটিয়ে দেশে মার্কসবাদী রাজনীতি বিশ্বাসীদের একীভূত করার বৃহত্তর উদ্যোগ বাস্তবায়ন করার অংশ হিসেবে খুলনায় এ সভা। রাজনৈতিক দল দুটো হচ্ছে ইউনাইটেড কমিউনিষ্ট লীগ ও ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী)।
সরকারের সাথে রাশেদ খান মেননের ঐক্যকে কেন্দ্র করে ২০১৯ সালের জাতীয় কংগ্রেসে ওয়ার্কার্স পার্টি একাধিক ভাগে বিভক্ত হয়। সাংগঠনিক শক্তির ভীত দূর্বল হওয়ায় তারা বিকাশ লাভ করতে পারিনি। মূলত কমিউনিষ্ট আন্দোলনকে বেগবান, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে বাম শক্তিকে একটি বলয়ের মধ্যে আনার জন্য ক্ষুদ্র এ দুটি দল ঐক্যবদ্ধ হওয়ার প্রয়াস নিয়েছে। এ দু’বাম দলের গঠনতন্ত্র, রণনীতি ও রণকৌশল এক এবং অভিন্ন। এ ঐক্য প্রক্রিয়ার সাথে সংশ্লিষ্টরা বলেছেন, সিপিবিকেও এ বলয়ে আনতে তারা তৎপর রয়েছে। তাদের সাথে প্রাথমিক আলাপও হয়েছে।
ঐক্য প্রক্রিয়ার লক্ষ্যে ওয়ার্কার্স পার্টি (মার্কসবাদী) ইকবাল কবির জাহিদ, মোশাররফ হোসেন নান্নু এবং ইউনাটেড কমিউনিষ্ট লীগের ডা. হারুন অর রশিদ, রণজিত চট্রোপাধ্যায় ও আব্দুস সাত্তার খুলনায় আসছেন।
ই্উনাইটেড কমিউনিষ্ট লীগের খুলনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক গাজী নওসের আলী ঐক্য প্রক্রিয়ায় তৎপর রয়েছেন। তিনি বলেছেন, মার্কসবাদে বিশ্বাসী এ দুটি দলের গঠনতন্ত্র ও রাজনৈতিক বিষয়ের মধ্যে কোন বিরোধ নেই। দু’দলই রণনীতি হিসেবে গণতান্ত্রিক বিপ্লবে বিশ্বাসী। ফলে এ দুটি দলের পৃথক পৃথক অবস্থান এখন যুক্তিহীন। ঐক্য কংগ্রেসের মাধ্যমে নতুন দলের নাম ঘোষণা করা হবে। সামনে মূল লক্ষ্য ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের প্রাক্কালে জাতীয় সরকারের দাবিকে জনপ্রিয় করে তোলা। ঐক্য প্রক্রিয়া শুরু হলে এর সাথে অনেকেই এ আন্দোলনে সম্পৃক্ত হবেন বলে তিনি জানিয়েছেন।
খুলনা গেজেট/এএ