নাটকের প্রিয় মুখ ফারজানা চুমকি। নতুন বছর নতুন উদ্যেমে শুরু করছেন তিনি। গত বছরটাও করোনা এবং করোনা পরবর্তীকালীন সময়টাও অভিনয়ে বেশ সময় দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।
নতুন বছরে এরইমধ্যে তিনি বাংলাভিশনে প্রচার চলতি নিমা রহমানের পরিচালনায় ‘গুলশান এভিনিউ সিজন-টু’ এবং এটিএন বাংলায় প্রচার চলতি ধারাবাহিক মুরাদ পারভেজ পরিচালিত ‘স্মৃতির আল্পনা আঁকি’ ধারাবাহিকের শুটিং-এ অংশ নিয়েছেন।
বর্তমানে ফারজানা চুমকি এই দু’টি ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করা নিয়েই ব্যস্ত আছেন।
দু’টি ধারাবাহিকে অভিনয় করা প্রসঙ্গে ফারজানা চুমকি বলেন,‘ স্মৃতির আল্পনা আঁকি ধারাবাহিকে আমার চরিত্রের নাম রিনা। চরিত্রটি শুরুর দিকে একটু দুষ্টু টাইপের ছিল। সব সময় স্বামীর সঙ্গে ঝগড়ায় মেতে থাকতো। কিন্তু গল্পের ধারাবাহিকতায় সেই চরিত্রটিতে পরিবর্তন এসেছে। রিনা নিজেকে অনেকটাই বদলে ফেলেছে।
আমি নিজেও চরিত্রটি এখন বেশ উপভোগ করছি। আবার গুলশান এভিনিউ সিজন টু’তে আমার চরিত্রটি পুরাই নেগেটিভ একটি চরিত্র। এই চরিত্রটিতে অভিনয়ের জন্যও বেশ সাড়া পাচ্ছি।
আপাতত এই দু’টি ধারাবাহিকে কাজ করেই আমি সন্তুষ্ট। দর্শকের প্রতি আন্তরিকভাবে কৃতজ্ঞ যে তারা আমার কাজগুলো প্রতিনিয়ত দেখেন এবং সেসব কাজের জন্য তাদের কাছ থেকে বেশ ভালো সাড়াও পাই।’
এদিকে আগামী ২১ ফেব্রুয়ারির পর চুমকি নতুন কিছু কাজের সঙ্গে নিজেকে সম্পৃক্ত করবেন। তার অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘পাপ পূণ্য’ চলতি বছরেই মুক্তি পাবার কথা রয়েছে।
এই সিনেমাতে তারসঙ্গে আরো কাজ করেছেন আফসানা মিমি, চঞ্চল চৌধুরী, সিয়াম আহমেদসহ অনেকে। ১৯৯৯ সালে লাক্সফটোসুন্দরী প্রতিযোগিতায় প্রথম রানার্স আপ হয়েছিলেন চুমকি।
তার অভিনীত প্রথম নাটক ছিল সৈয়দ ওয়াহিদুজ্জামান ডায়মন্ড পরিচালিত ‘জীবন যেখানে যেমন’। তার প্রথম বিজ্ঞাপন ছিল পিন্টু পরিচালিত ‘উইন্টার গার্ড লিপজেল’।
‘হদয়ে বসতি’ নাটকে চুমকি প্রথম একসঙ্গে কাজ করেন মীর সাব্বিরের সঙ্গে। এটি নির্মাণ করেছিলেন খায়রুল বাশার।
নিজের অভিনয় জীবন প্রসঙ্গে চুমকি বলেন,‘ আমার বড় বোন নীলু আপার অনুপ্রেরণাতেই মিডিয়াতে আসা। তার কারণেই আমার আজকের ফারজানা চুমকি হয়ে উঠা। সেকারণে তার প্রতি আমি সবসময়ই কৃতজ্ঞ।