ইসরায়েলের দুই অতি-ডানপন্থী মন্ত্রী ইতামার বেন-গভির এবং বেজালেল স্মোট্রিচের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে যুক্তরাজ্যসহ পাঁচ দেশ। নিষেধাজ্ঞার ফলে তারা যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করতে পারবেন না এবং সেখানে তাদের সব ধরনের সম্পদ জব্দ করা হবে। খবর বিবিসির।
মঙ্গলবার (১০ জুন) ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি এই নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেন।
ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ইসরায়েলি অর্থমন্ত্রী স্মোট্রিচ এবং জাতীয় নিরাপত্তামন্ত্রী বেন-গভির চরমপন্থি সহিংসতা এবং ফিলিস্তিনি মানবাধিকারের গুরুতর লঙ্ঘনকে উস্কে দিয়েছেন। এই ধরনের পদক্ষেপগুলো গ্রহণযোগ্য নয়। এই কারণেই আমরা তাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছি।
মানবাধিকার লঙ্ঘনে দায়ীদের অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে উল্লেখ্য করে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা গাজায় তাৎক্ষণিক যুদ্ধবিরতি কার্যকর, হামাসের কাছে বন্দি অবশিষ্ট জিম্মিদের অবিলম্বে মুক্তি, গাজায় ত্রাণ সহায়তা বৃদ্ধি এবং দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের পথ তৈরির জন্য প্রচেষ্টা চালিয়ে যাব।’
এদিকে, ব্রিটিশ পররাষ্ট্র দফতর এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘ঘনিষ্ঠ অংশীদার অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, নিউজিল্যান্ড এবং নরওয়ের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যও স্পষ্ট করছে, পশ্চিম তীরে ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীদের ক্রমবর্ধমান সহিংসতা এবং ভয় দেখানো বন্ধ করতে হবে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, স্মোট্রিচ এবং বেন-গভিরের বিরুদ্ধে গৃহীত ব্যবস্থাগুলোকে ‘গাজার ঘটনা থেকে বিচ্ছিন্নভাবে দেখা যাবে না এবং ইসরায়েলকে আন্তর্জাতিক মানবিক আইন মেনে চলতে হবে’।
অন্যদিকে, এ নিষেধাজ্ঞার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে ইসরায়েল বলেছে, ‘নির্বাচিত প্রতিনিধি এবং সরকারের সদস্যদের এই ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা অত্যন্ত নিন্দনীয়।’
ইসরায়েলি পররাষ্ট্রমন্ত্রী গিদিওন সার এ নিষেধাজ্ঞাকে ‘অগ্রহণযোগ্য সিদ্ধান্ত’ বলে অভিহিত করেছেন এবং আগামী সপ্তাহে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ বিষয়ে ইসরায়েল কীভাবে প্রতিক্রিয়া জানাবে তা নির্ধারণ করা হবে বলে জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, স্মোট্রিচ এবং বেন-গভির উভয়ই ডানপন্থী দলগুলোর সঙ্গে জড়িত, যারা প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর জোট সরকারকে সমর্থন করতে সহায়তা করে। স্মোট্রিচ গাজায় ত্রাণ সহায়তা প্রবেশের বিরুদ্ধে প্রচারণা চালিয়েছেন। অন্যদিকে, বেন-গভির গাজাবাসীদের এই অঞ্চল থেকে সরিয়ে দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
খুলনা গেজেট/এএজে