খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ৪ দিনের সরকারি সফরে ঢাকায় পৌঁছেছেন বাইডেনের বিশেষ প্রতিনিধি দল
  পাকিস্তানে যাত্রীবাহী গাড়িতে সন্ত্রাসী হামলায় নিহত ৪৫

দুই’শ টাকা চুরির অপবাদে মাদ্রাসা ছাত্রকে পিটিয়ে হত্যা!

লোহাগড়া প্রতিনিধি

নড়াইলের লোহাগড়ায় এক মাদ্রাসার ছাত্রকে টাকা চুরির অপবাদ দিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নিহত ছাত্র আরিফ বিল্লাহ (৯) উপজেলার লংকারচর গ্রামের নূর ইসলামের ছেলে।

উপজেলার শালনগর ইউনিয়নের মন্ডলভাগ আকতার হোসেন এতিমখানা ও রহমানিয়া মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ আব্দুল্লাহর বিরুদ্ধে এ হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

সোমবার (২৪ জানুয়ারি) সকালে নড়াইল সদর হাসপাতালের মর্গে নিহতের লাশের ময়নতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।

জানা গেছে, উপজেলার ইতনা ইউনিয়নের লংকারচর গ্রামের নূর ইসলামের বড় ছেলে আরিফ বিল্লাহকে ৯ মাস পূর্বে মন্ডলবাগ আকতার হোসেন এতিমখানা ও রহমানিয়া মাদ্রাসায় হাফেজি শাখায় ভর্তি করে। গত সোমবার (১৭ জানুয়ারী) ওই মাদ্রাসার এক ছাত্রের দুইশত টাকা চুরি হয়ে যায়। বিষয়টি সে মাদ্রাসার শিক্ষকদের অবগত করে। মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ আব্দুল্লাহ ওই দিন রাত ১১ টার দিকে মাদ্রাসার সকল ছাত্রদেরকে ঘুম থেকে ডেকে তুলে নামাজে বসানোর মত করে বসিয়ে বাঁশের কুঞ্চি ও লাঠি দিয়ে পিটাতে থাকে। মারপিটের এক পর্যায়ে আরিফ বিল্লাহ গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ে। মারপিটের ঘটনাটি পরিবারের কাউকে না জানাতে ছাত্রদের হুমকি দেয় আব্দুল্লাহ।

লজিং বাড়ীতে না যাওয়ায় গত শুক্রবার সকালে অসুস্থ্য আরিফ বিল্লাহকে তার লজিং বাড়ির লোকজনদের সহযোগীতায় তার ফুফু বাড়ি লাহুড়িয়ার কল্যাণপুর গ্রামে নেওয়া হয় এবং সেখানে স্থানীয় কবিরাজের মাধ্যমে আরিফ বিল্লাহকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। রোববার রাত ৮ টার দিকে অসুস্থ আরিফ বিল্লাহ মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে।

আরিফের বাবা নূর ইসলাম জানান, তার সন্তান ওই মাদ্রাসার শিক্ষক হাফেজ আব্দুল্লাহর বেধড়ক মারপিটের কারণে অসুস্থ হয়ে মারা গেছে। তিনি ছেলে হত্যার বিচার দাবি করেন।

অভিযুক্ত সাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুল্লাহ ও মাদ্রাসার বড় হুজুর আশরাফ আলীর সাথে মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।

এ বিষয়ে লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু হেনা মিলন চুরির ঘটনায় সকল ছাত্রদের মারধোরের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, রোববার রাতে নিহত ছাত্র আরিফের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। ময়না তদন্তের রিপোর্ট পেলে পরবর্তীতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

খুলনা গেজেট/ এস আই

 




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!