দীর্ঘ ২৮ বছর পর শনিবার (২৬ অক্টোবর) অনুষ্ঠিত হয়েছে সাতক্ষীরার ভোমরা কাস্টমস ক্লিয়ারিং এন্ড ফরওয়ার্ডিং (সিএন্ডএফ) এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের ত্রি-বার্ষিক নির্বাচন। নির্বাচনে আবু হাসান সভাপতি ও আবু মুছা সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছে।
নির্বাচিত অন্যান্য সদস্যরা হলেন সহ-সভাপতি পদে আব্দুল মোমেন খান সান্টু ও কাজী ইমাম উদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিলকিস সুলতানা সাথী, সাংগঠনিক ও দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক মোঃ শরিফুজ্জামান পরাগ, কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক জিএম আমির হামজা, বন্দর বিষয়ক সম্পাদক মোহাম্মদ রিয়াজুল হক এবং অর্থ সম্পাদক আব্দুল গফুর সরদার।
এছাড়া কার্যকরী সদস্য পদে মোঃ আমিনুল হক আনু, মোঃ মফিজুর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম শহিদুল ইসলাম শাহীন নির্বাচিত হয়েছেন।
এর আগে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে শনিবার সকাল ৮টায় ভোমরাস্থ অ্যাসোসিয়েশনের নিজস্ব ভবন কার্যালয়ের নির্বাচনী বুথে ভোট গ্রহণ শুরু হয়ে বিরতিহীনভাবে চলে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। নির্বাচনে সংগঠনের ১৬০জন সদস্য ভোটারের মধ্যে ১৩২ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
নির্বাচন কমিশনার জালাল উদ্দিন আকবর জানান, অবাধ সুষ্ঠু নিরপেক্ষ ও গণতান্ত্রিক মতাদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ভোটাররা যাতে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন সেজন্য কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়। ভোটারা নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন।
তিনি আরো বলেন, এবারের নির্বাচনে ১৭টি পদের বিপরীতে ২৭জন প্রার্থী প্যানেল ভিত্তিক একটি প্রতীক নিয়ে নির্বাচন করছেন। প্যানেল ভিত্তিক হরিণ মার্কা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন হাবিব-রবিউল-ওহিদুল সম্মিলিত পরিষদ। অন্যদিকে চশমা প্রতীক নিয়ে হাসান-সান্টু-মুছা সম্মিলিত পরিষদ।
প্রসঙ্গতঃ বিগত ১৯৯৬ সালের পর থেকে গত ২৮ বছর সাতক্ষীরার ভোমরা সিএন্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কোন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়নি। স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ক্ষমতাসিন দলের রাজনৈতিক নেতারা মোটা অংকের অর্থের বিনিময় তাদের পছেন্দের লোককে কমিটিতে বসিয়েছেন। দীর্ঘ এসময়ে প্রতিবারই নামমাত্র নির্বাচনী সিডিউল ঘোষণা করে বাইরের কোন প্রার্থীকে মনোনয়নপত্র কিনতে দেওয়া হয়নি। দীর্ঘ ২৮ বছর পর এবার প্রার্থীরা ইচ্ছামত নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার সুযোগ পেয়েছেন। একই সাথে ভোটাররাও পেরেছেন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে।
খুলনা গেজেট/এনএম