টাইগারদের স্পিন এ্যটাকের অন্যতম হাতিয়ার মেহেদি হাসান মিরাজ। খুলনার এই ক্রিকেটার ওয়ানডেতে সর্বশেষ বল হাতে সাফল্য পেয়েছিলেন এই ওয়েস্ট ইন্ডিজেরই বিপক্ষে। ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মিরাজ সিলেটের মাঠে ক্যারিবীয় দলের বিপক্ষে ২৯ রানে চার উইকেট তুলে ম্যাচ জয়ে ভুমিকা রেখেছিলেন। দীর্ঘদিন পর ঘরের মাঠে সেই দলটি পেয়ে নিজের সেরা ডেলিভারি দিয়ে তাদের বিপক্ষে আবার সাফল্য পেলেন তিনি।
আজ শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে মিরাজ ৯.৪ ওভার বল করে ২৫ রান দিয়ে চার উইকেট তুলে নেন। তাই ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পান তিনি।
সাম্প্রতিক সময়ে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তার পারফরম্যান্স ও সামর্থ্য হয়ে পড়ছিল প্রশ্নবিদ্ধ। দলে জায়গাও ছিল নড়বড়ে। এই সিরিজের শুরু থেকে সেরা একাদশে জায়গা না পেলেও তা বিস্ময়কর হতো না। ভালো কিছু করা তাই জরুরি ছিল তার জন্য। যদিও প্রতিপক্ষ যথেষ্ট দুর্বল, খর্বশক্তির এই ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের ক্রিকেটাররা স্পিনে বেশি নড়বড়ে। উইকেট ও কন্ডিশনও পক্ষে বোলারদের। তবে সেসবে তো মিরাজের কিছু করার নেই। তার নিয়ন্ত্রণে কেবল নিজের পারফরম্যান্স। সেটি তিনি করতে পারলেন বেশ ভালোভাবেই।
সাকিব আল হাসান ও বোলিং কোচ সোহেল ইসলামের পরামর্শেই নাকি বোলিংয়ে পরিবর্তন এনে এই সাফল্য পেয়েছেন মিরাজ। ইনিংসের মাঝে তিনি সাংবাদিকদের কাছে নিজের সাফল্যের অনুভুতি প্রকাশ করে বলেন, ‘আজকের বোলিংয়ে আমি খুবই খুশি। আগের ম্যাচে যে জায়গায় বল ডেলিভারি দিয়েছিলাম তাতে আমি খুব একটা সাফল্য পাইনি। আমি দলের সিনিয়র ক্রিকেটার সাকিব ভাই ও স্পিন বোলিং কোচের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁদের কাছ থেকে কিছু বিষয় জেনেছি, যা আজ কাজে লেগেছে আমার।
এদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে জিতেছে বাংলাদেশ সাত উইকেটে। তাই এক ম্যাচ হাতে রেখেই সিরিজ জিতেছে লাল-সবুজের দল। এই ম্যাচে সাকিব আল হাসানের অলরাউন্ডিং নৈপুণ্য, তামিম ইকবালের হাফেসঞ্চুরি ও মেহেদী হাসান মিরাজের বল হাতের সাফল্যে এই দারুণ জয় পায় বাংলাদেশ।
খুলনা গেজেট/এ হোসেন