অনেকটা হঠাৎ করেই ঢাকায় এসেছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। বুধবার (১৯ আগস্ট) ঢাকায় উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক করেছেন তিনি। হোটেল সোনারগাঁওয়ে বৈঠকের পর বেলা আড়াইটার দিকে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মাসুদ বিন মোমেন।
ভারতের পররাষ্ট্রসচিবের ঢাকায় আসা নিয়ে নানা জল্পনা-কল্পনা চলছিল। গণমাধ্যমে খবর প্রকাশ করা হয়, দিল্লির বিশেষ বার্তা নিয়ে ঢাকায় এসেছেন শ্রিংলা।
এ সময় মাসুদ বিন মোমেন বলেন, করোনার টিকা ভারত তৈরি করতে পারলে সেটা শুধু ভারতের জন্যই নয়, বাংলাদেশেও দেয়া হবে। বাংলাদেশেও ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে ভারতীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর যৌথ কোনো কাজ করার সুযোগ থাকলে সেটা করা হতে পারে।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে ভারত বাংলাদেশকে সহায়তা করবে বলে ভারতীয় পররাষ্ট্রসচিব প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব।
এছাড়া সম্প্রতি কিছু গণমাধ্যমে বাংলাদেশ নিয়ে যে আপত্তিকর খবর প্রকাশ করা হচ্ছে সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে এবং এসব বন্ধে দুই পররাষ্ট্রসচিব একমত হয়েছেন।
ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্রসচিবকে সাংবাদিকরা বেশ কিছু প্রশ্ন করেন। তার মধ্যে একটি ছিল, বলা হচ্ছে দিল্লির বিশেষ বার্তা নিয়ে শ্রিংলা ঢাকায় এসেছেন। সেই বার্তা কী?
উত্তরে পররাষ্ট্রসচিব বলেন, দিল্লির বিশেষ বার্তা হচ্ছে, আসলে করোনার কারণে কোনো দেশের সঙ্গেই কোনো দেশের সম্পর্ক স্বাভাবিক নেই। সেইটার এক ব্রেকথো হিসেবে দেখছি। এ করোনার সময় এটা ওনার প্রথম সফর। উনি আমাকেও আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। অন্যান্য সময় আমরা যাতায়াত করতাম। কিন্তু বর্তমানে সেটা হচ্ছে না। ওনারা (ভারত) বাংলাদেশকে এতটাই গুরুত্ব দিচ্ছে যে, উনি এই বার্তা নিয়ে এসেছেন যে, এই পরিস্থিতির মধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে ওনারা সম্পর্কটা উন্নত করতে চান।
এর আগে সকালে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন জানিয়েছিলেন, করোনা টিকা নিয়ে আলোচনা করতেই ভারতের পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বাংলাদেশ সফরে এসেছেন। সকালে সিলেট জেলা প্রশাসন প্রাঙ্গণে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি উদ্বোধন শেষে এ কথা জানান তিনি। এ সময় তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে প্রবাসীদের ভিসা জটিলতা নিয়েও কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ভারতে করোনার ভ্যাকসিন তৈরি হওয়ার সম্ভাবনা, সেটা আমাদের দেশে কীভাবে পাব তা নিয়ে কথা হবে। এছাড়া সংযুক্ত আরব আমিরাতে তারা নতুন নতুন আইন দিচ্ছে। এখন তারা দিয়েছে শুধু ভিসার মেয়াদ নয়, গেলে ভিসা থাকতে হবে। তারপরে কফিল যে তাকে নিয়োগ করেছে তারও গ্রিন সিগনাল লাগবে।