খুলনা, বাংলাদেশ | ৪ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ঢাবিতে চোর সন্দেহে যুবককে ও জাবি ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা দুখঃজনক
  বেক্সিমকো গ্রুপের সব সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রিসিভার নিয়োগ দিতে পূর্ণাঙ্গ রায়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট

দিল্লির নতুন মুখ্যমন্ত্রী হতে যাওয়া কে এই অতিশি?

আন্তর্জাতিক ডেস্ক

অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পদত্যাগের ঘোষণার পর আম আদমি পার্টির নেত্রী অতিশিকে দিল্লির পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মনোনীত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) নয়াদিল্লিতে আম আদমি পার্টির বৈঠকে কেজরিওয়াল নিজেই তার উত্তরসূরি হিসেবে অতিশির নাম প্রস্তাব করেন। তাতে সায় দেন দলের নেতাকর্মীরা।

আজ মঙ্গলবার বিকেলেই কেজরিওয়াল তার পদত্যাগপত্র জমা দেবেন বলে আশা করা হচ্ছে।

আবগারি শুল্ক মামলায় মনীশ সিসোদিয়া গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে অতিশিকেই আম আদমির সবচেয়ে বড় তারকা হিসেবে দেখা হচ্ছে। বর্তমান দিল্লি সরকারের একাধিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পালন করছেন অতিশি। তার অধীনে আছে শিক্ষা, গণপূর্ত, সংস্কৃতি ও পর্যটন এবং নারী ও শিশু কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

কে এই অতিশি?
অতিশির পুরো নাম অতিশি মারলেনা সিং। ১৯৮১ সালে জন্ম নেওয়া অতিশির নামের মধ্যবর্তী অংশ ‘মারলেনা’ এসেছে মার্ক্স ও লেনিন শব্দের সন্ধিতে। রাজনৈতিক জীবনে যদিও নামের শেষের দুটি অংশ ব্যবহার করেন না অতিশি। ২০১৮ সাল থেকে শুধু ‘অতিশি’ নামটিই ব্যবহার করছে তার দল।

উচ্চ মাধ্যমিক ও স্নাতক পর্যন্ত দিল্লিতেই পড়াশোনা করেছেন অতিশি। এরপর তিনি বৃত্তি নিয়ে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হন, যেখানে ২০০৩ সালে ইতিহাসে স্নাতকোত্তর করেন তিনি।

রাজনীতিতে প্রবেশ
২০১৩ সালে আম আদমি পার্টির হয়ে নিজের রাজনৈতিক যাত্রা শুরু করেন অতিশি। দলের একজন নীতি নির্ধারক হিসেবে জায়গা পান তিনি।

২০১৫ সালে মধ্য প্রদেশের খান্ডোয়া জেলায় ঐতিহাসিক জল সত্যাগ্রহ আন্দোলনে যোগ দেন অতিশি। ২০১৯ সালে দিল্লির লোকসভা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন তিনি। ওই নির্বাচনে তাকে প্রায় পাঁচ লাখ ভোটে হারিয়ে জিতে যান বিজেপি প্রার্থী গৌতম গম্ভীর।

২০২০ সালে বিধানসভা নির্বাচনে দক্ষিণ দিল্লির কালকাজি আসন থেকে নির্বাচিত হন অতিশি।

শিক্ষামন্ত্রী হিসেবে অতিশি
একাধিক মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সামলালেও অতিশির অধীনে দিল্লির শিক্ষাখাতে বেশ কিছু ইতিবাচক পরিবর্তন এসেছে। দিল্লির সরকারি স্কুলগুলোর অবকাঠামোগত উন্নয়ন, শিক্ষা অধিকার আইনের সঙ্গে মিল রেখে স্কুল পরিচালনা কমিটি গঠন এবং বেসরকারি স্কুলগুলোর বাড়তি ফি নেওয়া বন্ধ করতে নীতিমালা প্রণয়নসহ অনেক জনপ্রিয় পদক্ষেপ হাতে নেন তিনি। শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক সুস্থতা এবং মানসিক বিকাশের লক্ষ্যে ‘সুখ’ (হ্যাপিনেস) পাঠ্যক্রমও যোগ করেন তিনি।

খুলনা গেজেট/এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!