সাইক্লিস্টদের উপর এক গবেষণায় দেখা যায়, ২০১১ সালের তুলনায় ২০১৬ সালে এসে সাইক্লিস্টদের মধ্যে মানসিক অবসাদ কমেছে। অর্থাৎ সাইক্লিং শারীরিক নানা রোগ দূরে রাখার পাশাপাশি মানসিক রোগও দূর করে।
অস্ট্রেলিয়ান সরকারের ওয়েবসাইট বেটার হেলথ চ্যানেলে বলা হচ্ছে সাইক্লিং স্ট্রোক, হার্ট অ্যাটাক, কয়েক ধরনের ক্যান্সার, মানসিক অবসাদ, ডায়াবেটিস, স্থুলতা এবং আর্থাইটিসের মতো মারাত্মক সব রোগ প্রতিরোধ করে।
গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক ড জেসন গিল বলেন ‘এটা এখন প্রমাণিত যে কোন উপায়ে কাজে যায়, তার সাথে তার স্বাস্থ্য ঝুঁকির সম্পর্ক রয়েছে। বিশেষ করে সাইকেল চালিয়ে কাজে যাওয়ার উপকার অনস্বীকার্য।‘
সাইক্লিং যেভাবে শরীরের উপকার করে- ফুসফুসকে শক্তিশালী করে হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়, শরীরের বিভিন্ন পেশীকে শক্তিশালী করে ও শরীরকে সংবেদনশীল করে তোলে, মানসিক চাপ কমিয়ে আনে, হাড়কে শক্তিশালী করে ও শরীরের চর্বি ও প্রদাহ কমায়।
এডিনবরা ও গ্লাসগো বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণায় দেখা যায়- নিয়মিত সাইক্লিং হৃদরোগের ঝুঁকি কমায় ৪৬ শতাংশ ও ক্যান্সারের ঝুঁকি ৪৫ শতাংশ কমিয়ে আনে। এছাড়া ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিও ২০ থেকে ২৮ শতাংশ কমে আসে।
যুক্তরাজ্যের সাইকেল স্পোর্টসের অভিভাবক ব্রিটিশ সাইক্লিংয়ের মতে দ্রুত সাইকেল চালিয়ে আপনি ঘণ্টায় ৫০০ ক্যালরি শেষ করতে পারেন, যা আপনার স্বাস্থ্য ও ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখে।
বিভিন্ন পরিসংখ্যান ও গবেষণা বলছে- যারা নিয়মিত সাইকেল চালান তারা নিজেদের ১০ বছর কম বয়সী অনুভব করেন। বেটার হেলথ চ্যানেল বলছে স্বাভাবিক ফিটনেসের জন্য সপ্তাহে ২ থেকে ৪ ঘণ্টা সাইক্লিং হলেই চলে। এতে ইনজুরির শঙ্কা খুবই কম থাকে।
নিয়মিত সাইক্লিং করা ট্রেনার আরাফাতের মতে- ’আপনার সুস্থতার বা ফিটনেসের জন্য দিনে আধাঘন্টা করে সপ্তাহে ৩ ঘণ্টা সাইকেল চালাতে পারেন। আর একটু বেশি সময় দিতে চাইলে দিনে ১ ঘন্টা করে সপ্তাহে ৬ ঘন্টা।’
ব্রিটিশ হার্ট ফাউন্ডেশনও ফিটনেস ধরে রাখতে প্রতিদিন ৩০ মিনিট সাইক্লিংয়ের পরামর্শ দিয়েছে।
সূত্র: বিবিসি বাংলা
খুলনা গেজেট/এএজে