খুলনার দিঘলিয়া উপজেলার সূতীর কূল বাজারে সড়কের উপর বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে পাটের ট্রাকে আগুন লাগে। সড়কের দু’পাশে বাজার এবং পাশেই ছিলো বিদ্যুতের ট্রান্সমিটার। বড় ধরনের দুর্ঘটনার আগেই দমকল বাহিনীর সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
এলাকাবাসী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, সকাল আনুমানিক ১০ দিকে খুলনা মেট্রো ট-১১-০৬৮৮ ট্রাকে পাটের ঝুট ভর্তি একটি ট্রাক ফরমাইসখানা মন্ডল জুট মিলে যাচ্ছিল। ট্রাকটি ব্রক্ষগাতী সরদার বাড়ির সামনে পৌঁছালে সড়কের পাশে গফফার সরদারের দোকানের সার্ভিস তার ঝুটের ট্রাকে জড়িয়ে ছিঁড়ে যায় এবং তাৎক্ষণিকভাবে আগুন লেগে যায়। আগুন লাগা ট্রাক সুতির কূল বাজারে পৌঁছালে ট্রাকের ড্রাইভার জ্বলন্ত ট্রাক থামিয়ে পালিয়ে যায়। এ অবস্থা দেখে বাজারের লোকজন আধা ঘন্টা ধরে পাটের ট্রাকের আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। খবর পেয়ে ফরমাইশখানা দমকলবাহিনীর একটি ইউনিট দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে ২ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
সূতিরকূল বাজারের ব্যবসায়ী আব্দুল্লাহ আল মামুন খুলনা গেজেটকে বলেন, সড়কটি দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অতিরিক্ত পাট বোঝাই করে দিবারাত্রি চলাচল করে। ইতিপূর্বে বিদ্যুতের খুঁটি থেকে নেওয়া আমার দোকানের সার্ভিস তার ২ বার ছিঁড়েছে। এছাড়া গত এক বছরে সড়কের পাশে বিদ্যুতের খুঁটি থেকে নেওয়া বাজারের অন্যান্য দোকানদারদের সার্ভিস তারও ১৫ থেকে ২০ বার ছিঁড়েছে। বিষয়টি আমরা স্থানীয় প্রশাসনকে মৌখিকভাবে জানানোর পরও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।
তিনি বলেন, সূতীরকূল বাজারে যে স্থানটিতে আগুন লাগা ট্রাকটি থামানো হয় তার পাশেই বিদ্যুতের ট্রান্সফর্মার ছিলো এবং সড়কের দু’পাশে অসংখ্য দোকানপাট। আগুন ছড়িয়ে পড়লে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটতে পারতো।
দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ রিপন কুমার সরকার খুলনা গেজেটকে বলেন, ঝুট ভর্তি ট্রাক ত্রিপল দিয়ে না ঢাকার কারণে সার্ভিসের বিদ্যুতের তার ছিড়ে আগুন ঝুট ভর্তি ট্রাকে আগুন ধরে যায়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) তানভীর আহমেদ এবং দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ রিপন কুমার সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন।
খুলনা গেজেট/এনএম