দিঘলিয়া উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়িতে দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনায় কেউ আটক হয়নি। উদ্ধার হয়নি চুরি হওয়া মালামাল। দুর্ধর্ষ চুরির ঘটনাটি নিয়ে এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ বলছে মালামাল উদ্ধার এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তারে জোর তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।
মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মমতাজ শিরীন ময়না মুঠোফোনে খুলনা গেজেটকে বলেন, শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) প্রতিদিনের ন্যায় দিবাগত রাত দুইটায় পরিবারের সবাই ঘুমাতে যায়। ভোর ৫ টায় আমার ছেলে অরণ্য তার ঘরে থাকা আলমারির ড্রয়ার সব খোলা দেখতে পেয়ে ভয়ে আতঁকে উঠে। পরে সে আমাদের বেডরুমে ঢুকতে গিয়ে দেখে বাইরে থেকে ছিটকানি দেওয়া। ছিটকানি খুলে বেডরুমে ঢুকে ঘটনাটি আমাকে এবং আমার স্বামীকে জানায়। এ সময় আমরা স্বামী-স্ত্রী বাইরে যেয়ে দেখি মেইন গেটের কলাপসিবলের তালাভাঙ্গা। ধারণা করা হচ্ছে রাত আনুমানিক তিনটার পর সংঘবদ্ধ চোরের দল গেটের তালা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে এবং আমার ছেলের ঘরে থাকা আলমারির সংগে লাগানো চাবি দিয়ে ড্রয়ার খুলে ড্রয়ারের ভীতর থাকা মেয়ের বিবাহের স্বর্ণের গহনা, আমার সব স্বর্ণের গহনাসহ যাবতীয় স্বর্ণালংকার, নগদ টাকা ও অন্যান্য মালামাল চুরি করে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যায়।
তিনি বলেন, চুরি হওয়া স্বর্ণালংকার আনুমানিক ৮/ ১০ ভরি হবে। আমার স্বামীর বেতনের ৪৫ হাজার টাকাসহ আরও কিছু নগদ টাকাসহ চুরি হওয়া অন্যান্য মালামালের আনুমানিক মূল্য ১৫ লাখ টাকা হবে। এ ব্যাপারে আমার স্বামী শেখ আল মামুন বাদী হয়ে দিঘলিয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলা নং ৪। তাং ১১/৯/২০২৩। পুলিশ এ পর্যন্ত চোরাইকৃত মালামাল উদ্ধার কিংবা চুরির সঙ্গে জড়িত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ।
দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ রিপন কুমার সরকার খুলনা গেজেটকে বলেন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়িতে চুরির ঘটনার পর থেকে চোর শনাক্ত এবং চোরাইকৃত মালামাল উদ্ধারে আমরা তৎপরতা বৃদ্ধি করেছি।
উল্লেখ্য, বিগত কয়েক মাস ধরে দিঘলিয়া উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভৈরব নদীর কূল ঘেঁসে বয়ে যাওয়া দিঘলিয়া গ্রামের কোন না কোন বাড়িতে ধারাবাহিকভাবে চুরির ঘটনা সংঘটিত হচ্ছে। রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাতে একই গ্রামের ইমদাদুল হক হুজুরের বাড়ির গ্রিল কেটে চুরির চেষ্টা চালায়। ধারাবাহিক চুরির ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে গ্রামের মানুষ। থানা পুলিশের পাশাপাশি গ্রামবাসী রাতে পাহারার ব্যবস্থা করেও চোরের উৎপাত বন্ধ করতে পারছে না। থানা পুলিশের পক্ষ থেকে নদীতেও টহলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে গ্রামবাসী চোরের উপদ্রব বন্ধে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করেছেন গ্রামবাসী।
খুলনা গেজেট/এনএম