দিঘলিয়া উপজেলার হাজীরহাটি ইউনিয়নের সোনাকুড়ি বাজার দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে উভয় গ্রুপের ৭ জন আহত হয়েছে। এদের মধ্যে আহত মহসিন শিকদারের অবস্থা গুরুতর। বর্তমানে তিনি খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এলাকাবাসীর কাছ থেকে জানা যায়, সোনাকুড়ি বাজারের প্রকৃত ইজারাদার মো. জাহাঙ্গীর মোল্লা। উপজেলা প্রশাসনের কাজ থেকে ১ লাখ ৫০ হাজার টাকা ডাক দিয়ে তিনি হাটটি নিয়েছেন। শুক্রবার (৩০ আগস্ট) সকালে মহসিন শিকদার লোকজন নিয়ে হাট দখলের চেষ্টা চালায় এবং হাটের ইজারাদার জাহাঙ্গীরকে মারপিট করে আহত করে। এ ঘটনার প্রতিবাদে জাহাঙ্গীর মোল্লা তার বংশীয় লোকজন নিয়ে মহসিন শিকদারদারের উপর হামলা চালায়৷ হামলায় মহসিন শিকদার মারাত্মক আহত হয়। মহসিন শিকদারের সঙ্গে থাকা তার ছেলে বকতিয়ার সিকদার, সিকদার বংশের লিটন, নাসির, টুটুল, জামাল আহত হয়।
দিঘলিয়া থানা অফিসার ইনচার্জ মো. বাবুল আক্তার বলেন, গাজীরহাটের সোনাকুড়ি বাজারে একটা গন্ডগোল লেগেছে এমন সংবাদে পুলিশ ফোর্স এবং সেনাবাহিনীর একটি গাড়ি দ্রুত ঘটনাস্থলে যেয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তিনি বলেন, পার্শ্ববর্তী কালিয়ার লোকজন গাজীরহাট সোনাকুড়ি বাজারে ঢোকার পর দুই এলাকার লোকজনের সঙ্গে গন্ডগোলের সূত্রপাত হয়। এ ঘটনায় এখনও পর্যন্ত থানায় কেউ অভিযোগ নিয়ে আসেনি। অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
গাজীরহাট পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ এসআই মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, সকাল আনুমানিক সাড়ে ৭ টার দিকে প্রথমে একদল লোক এসে বাজার কমিটির লোকজনদের উপর হামলা চালায়। পরবর্তীতে বাজার কমিটির লোকজন একত্রিত হয়ে তাদের উপর হামলা চালায়। উভয় গ্রুপের কয়েকজন আহত হয়। এদের মধ্যে ৩/৪ হাসপাতালে ভর্তি আছে।
খুলনা গেজেট/এএজে