শেষ ম্যাচে জয় পেতে হলে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বাধীন দলকে ১৬২ রান করতে হবে। এর আগে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে ৩-১ ব্যবধানে জয় পায় স্বাগতিকরা। ইনিংসের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত কতৃত্ব বজায় রেখে নিউজিল্যান্ড মাত্র ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬১ রান তোলে। যা সিরিজের সর্বোচ্চ রান।
১৬২ রানের চ্যালেঞ্জে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করে লিটন ও নাঈম। ১৮ ওভারে ১১৬ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছে বাংলাদেশ।
দলীয় ৪৬ রানের মধ্যে দুই ওপেনারসহ ৪ উইকেট হারাল বাংলাদেশ। নিউ জিল্যান্ডের বিপক্ষে পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতে লিটন দাস ১০ রানে বিদায় নিলে ভাঙে উদ্বোধনী জুটি। এজাজ প্যাটেলের বলে পয়েন্টে এক হাতে দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন কুগেলেইন। লিটনের ১২ বলের ইনিংসে ছিল একটি চার। এরপর ৬.৪ ওভারে দলীয় ৩৮ রানে লিটনের পথ ধরেন সৌম্য সরকার। সুযোগ পেয়েও কাজে লাগাতে পারেননি তিনি।
কোল ম্যাকনকিকে জোরের ওপর কাট করতে রাচিন রবীন্দ্রর হাতে ধরা পড়েছেন সৌম্য সরকার, টাইমিং হয়নি ঠিকঠাক। সামনে ডাইভ দিয়ে বেশ ভালো একটা ক্যাচ নিয়েছেন রবীন্দ্র। লিটন দাসের পর সৌম্যও ফিরলেন প্রায় একই জায়গায় ক্যাচ দিয়ে। একাদশে ফেরার ম্যাচে ৯ বলে ৪ রান সৌম্যর।
আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাঈম ২৩ রান করে আউট। ২১ বলে ৩ চার মারেন তিনি, অষ্টম ওভারে বেন সিয়ার্স তাকে ফিরিয়ে প্রথম আন্তর্জাতিক উইকেট নেন।
সর্বশেষ জোরের ওপর শট খেলে ক্যাচ তুলে ফিরলেন মুশফিকুর রহিম। রাচিন রবীন্দ্রর বলে লং-অফে কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের হাতে ধরা পড়েছেন তিনি, ৮ বলে ৩ রান করেই। সিরিজে এ নিয়ে তিনবার দুই অঙ্কের নিচেই থামলেন মুশফিক (এর মাঝে দুটি শূন্য)। ৪৬ রান তুলতেই চতুর্থ উইকেট হারিয়ে ফেলল
শুক্রবার মিরপুর শেরেবাংলায় টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় নিউজিল্যান্ড। পাঁচ ম্যাচ সিরিজের শেষ খেলায় প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে উড়ন্ত সুচনা করেন কিউইরা। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৫০ রান করেন কিউই অধিনায়ক টম ল্যাথাম। এছাড়া ৪১ রান করেন ওপেনার ফিন অ্যালান।
উদ্বোধনীতে ৫.৪ ওভারে স্কোর বোর্ডে ৫৮ রান তুলেন দুই ওপেনার ফিন অ্যালান ও রাচিন রবীন্দ্র। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় সফরকারীরা।
প্রথম ৯ বলে ৩০ রান দিয়ে উইকেটের দেখা পাননি শরিফুল ইসলাম। এরপর কিউই শিবিরে জোড়া আঘাত হানেন এ তরুণ পেসার। তার শিকার হয়ে সাজঘরে ফেরেন নিউজিল্যান্ডের দুই ওপেনার ফিন অ্যালান ও রাচিন রবীন্দ্র।
১২ বলে ১৭ রান করে শরিফুলের বলে ক্যাচ তুলে দেন রবীন্দ্র। আর ২৪ বলে ৪টি চার ও তিন ছক্কায় ৪১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলা বোল্ড হন ফিন অ্যালন।
এরপর আফিফ হোসেনের বলে উইকেটকিপার নুরুল হাসান সোহানের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন উইলি ইয়াং। আগের ম্যাচে দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪৬ রান করা এ তারকা ব্যাটসম্যানকে এদিন মাত্র ৬ রানে ফেরান আফিফ।
দলীয় ৮৩ রানে নাসুম আহমেদের স্পিনে বিভ্রান্ত হন কলিন ডি গ্রান্ডহোম। আগের চার ম্যাচে ৯ রান করা গ্র্যান্ডহোম আজ করেছেন ৯ রান।
পঞ্চম উইকেটে নিকোলসকে সঙ্গে নিয়ে ৩৫ বলে ৩৫ রানের জুটি গড়েন অধিনায়ক টম ল্যাথাম। ২১ বলে দুটি বাউন্ডারিতে ২১ রান করে নুরুল হাসান সোহানের দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত হন নিকোলস।
বাংলাদেশ একাদশ: মোহাম্মদ নাঈম, লিটন দাস, সৌম্য সরকার, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, শামীম হোসেন, শরিফুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ ও নাসুম আহমেদ।
নিউ জিল্যান্ড একাদশ: রাচিন রবীন্দ্র, ফিন অ্যালেন, টম ল্যাথাম (অধিনায়ক), উইল ইয়াং, হেনরি নিকোলস, কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম, কোল ম্যাককনচি, এজাজ প্যাটেল, স্কট কুগেলেইন, বেন সিয়ার্স, জ্যাকব ডাফি।