দাম বেড়ে যাওয়ায় সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে জিরা আমদানি কমেছে। গত চার মাসে এ বন্দর দিয়ে সাড়ে ১৭ কোটি টাকার জিরা আমদানি হয়েছে। ফলে গত অর্থবছরের প্রথম চার মাসের তুলনায় ২৫ শতাংশ আমদানি কমেছে এই মসলাজাত পণ্যটি।
বন্দরের ব্যবসায়ী ও আমদানিকারকরা বলছেন, ডলারের মুল্য বেশি হওয়ার পাশাপাশি ভারতে মসলাজাত সব পণ্যের দাম উর্দ্ধমুখী। যে কারনে দেশীয় বাজারে দরের প্রভাব পড়ায় চাহিদা কমে যাচ্ছে জিরা।
ভোমরা স্থলবন্দরে জিরা আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান মেসার্স রাফসান এন্টারপ্রাইজের মালিক মোঃ আবু হাসান জানান, অন্যান্য মসলাজাত পণ্যের পাশাপাশি বছরে একটি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে জিরা তিনি ভারত থেকে আমদানি করে থাকেন। তবে সম্প্রতি ভারতে জিরার দাম বাড়ার কারণে আমদানি কিছুটা কমে গেছে তার প্রতিষ্ঠানে। তিনি বলেন, ডলারের মুল্য বৃদ্ধির পাশাপাশি ভারতে জিরার দাম বেড়ে যাওয়াতে পণ্যটি ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ আমদানি কমেছে।
এদিকে ভোমরা শুল্ক স্টেশনের রাজস্ব বিভাগ থেকে জানা গেছে, চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাস জুলাই-অক্টোবর পর্যন্ত এ বন্দর দিয়ে ভারতীয় জিরা আমদানি হয়েছে ৯৭৯ টন। যার মুল্য ১৭ কোটি কোটি ৫৬ লাখ টাকা। এ থেকে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছে ৯ কোটি ৪১ লাখ টাকা। একই ভাবে গত অর্থবছরের প্রথম চার মাসে জিরা আমদানি হয়েছিলো ১ হাজার ২০০ টন। যার মুল্য ছিলো ১৯ কোটি ৩০ লাখ টাকা। এতে সরকারের রাজস্ব আয় হয়েছিল ১০ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। এ হিসাব অনুযায়ী চলতি অর্থবছরের প্রথম চার মাসে আমদানি কমেছে ২২১ টন।
সাতক্ষীরা জেলার সবচেয়ে বড় মসলার আড়ত শহরের সুলতানপুর বড় বাজারের কয়েকটি মসলা বিপনিতে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক মাসের ব্যবধানে জিরা প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে ৬০ থেকে ৬৫ টাকা। ব্যবসায়ীরা জানান, আমদানি খরচ বেড়ে যাওয়াতে তার প্রভাব পড়ছে পাইকারী বা খুচরা বাজারে। ভারত, পাকিস্থান ও ইরান থেকে যে সমস্ত জিরা আমদানি হয় তা প্রতি কেজিতে দাম বেড়েছে ৬০/৬৫ টকা করে।
ভোমরা শুল্ক স্টেশনের দায়িত্বরত কাস্টমসের সহকারী কমিশনার নেয়ামুল হাসান জানান, চলতি অর্থবছরে জিরা আমদানি কিছুটা কমে গেছে। উৎস্যকর যুক্ত যে সব পণ্য আমদানি হয়ে থাকে তার মধ্যে জিরা উল্লেখযোগ্য একটি মসলাজাত পণ্য। জিরার দাম বৃদ্ধি ও ডলার সংকটের কারণে ব্যবসায়ীরা সময় মত এলসি না করায় ভারতীয় মসলাজাত এই পণ্যটির আমদানি কিছুটা কমেছে। দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে বলে জানান ওই কাস্টমস কর্মকর্তা।