ঘোষিত তিন দফা দাবি পূরণ না হওয়ায় আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিলেন পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা। অর্থাৎ, দেশের সব পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্বাত্মক কর্মবিরতি অব্যাহত থাকছে।
সর্বজনীন পেনশনের ‘প্রত্যয়’ স্কিম বাতিলসহ তিন দফা দাবিতে চলমান কর্মবিরতির ১৩ দিনের মাথায় গতকাল আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে বৈঠক হয় শিক্ষক নেতাদের। সে আলোচনা ‘ফলপ্রসূ’ হয়েছে বলে উল্লেখ করেছিলেন শিক্ষক নেতারা।
এ বিষয়ে রবিবার অনলাইনে (জুমে) ফেডারেশনের বৈঠক ডাকা হয়েছে। সিদ্ধান্তের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ফেডারেশনের সভাপতি এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আখতারুল ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, গতকাল সরকারের উচ্চ পর্যায়ের সঙ্গে শিক্ষক প্রতিনিধিদের একটি বৈঠক হয়েছে আপনারা জানেন। আলোচনা শুরু হওয়ায় আমরা খুশি হয়েছি। তবে আমাদের দাবিগুলো এখনও মানা হয়নি। আমরা আজ শিক্ষকদের সঙ্গে গতকালের বৈঠকের আলোচ্য বিষয়গুলো তুলে ধরেছি। এরপর সবার সঙ্গে আলোচনা করেই দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছি।
তবে সরকার দ্রুত শিক্ষকদের দাবি মেনে নিবেন বলেও তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন। অন্যান্য দিনের মতো আজও বৈঠক শেষে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের মূল ফটকে অবস্থান নিয়েছিলেন শিক্ষকেরা।
গতকাল শিক্ষক নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের পর বিষয়টি নিয়ে ভুল বোঝাবুঝি ছিল জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, সর্বজনীন পেনশন কর্মসূচির আওতায় সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানগুলোর সবাই যুক্ত হবেন ২০২৫ সালের ১ জুলাই। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ২০২৪ সালের ১ জুলাই থেকে পেনশনে যোগদানের বিষয়ে তথ্য ছিল, সেটা সঠিক নয়।
তাঁদের তিনটা দাবির মধ্যে এটাও একটা দাবি। সবার মতো তাঁরাও ২০২৫ সালের ১ জুলাইয়ে যোগ দেবেন, এটা নিশ্চিত করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এএজে