দেশে সার্বিক বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। উত্তরাঞ্চলের নদ-নদীতে বানের পানি কিছুটা কমলেও; অবর্ণনীয় দুর্ভোগে লাখো পানিবন্দি মানুষ। তীব্র ভাঙন অব্যাহত থাকায়; দিশেহারা নদীতীরের মানুষ। রাজশাহীর বাগমারায় গ্রাম ডুবে যাওয়ায় দাফনের জন্য মিলছে না একখণ্ড শুকনো জমি।
বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের হিসাব বলছে, ১৭ জেলার পর এবার আক্রান্ত নারায়ণগঞ্জ। এরমধ্যে তীব্রতা বেশি ৬ জেলায় আর ১২টিতে আংশিক।
রাজশাহী, বগুড়া, কুড়িগ্রামে বানের পানি কিছুটা কমলেও, কমছে না দুর্ভোগ। রাজশাহীর বাগমারায় ভাসছে পুরো বেড়াবাড়ি গ্রাম। দাফনের জন্যও মিলছে না একখণ্ড শুকনো জমি।
পদ্মায় তীব্র স্রোতে ভাঙন দেখা দিয়েছে মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া ঘাটে। এরইমধ্যে ভেসে গেছে পন্টুন, বিলীন হয়েছে ঘাট এলাকার ১০০ মিটার। ভাঙনে দিশেহারা পাবনার সুজানগর ও বেড়া উপজেলার বাসিন্দারাও। গাইবান্ধায় আগ্রাসী হচ্ছে করতোয়া নদী। প্রতিদিনই বিলীন হচ্ছে, বসতভিটা-ফসলি জমি।
নাটোর ও রাজবাড়ী পানি বাড়ছে আগের মতই। পানিতে ঘরবাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে বানভাসীরা।
সুনামগঞ্জে বন্যার পানি কমতে শুরু করায়, ক্ষত বের হচ্ছে বাড়িঘর ও রাস্তাঘাটের। প্রশাসনের হিসাব বলছে, জেলায় ক্ষতি হয়েছে প্রায় ৯’শ কিলোমিটার সড়কের। আর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন দুই লাখেরও বেশি পরিবার।
শরীয়তপুর ও মানিকগঞ্জে স্থিতিশীল রয়েছে বন্যা পরিস্থিতির। তবে শুকনো খাবার ও বিশুদ্ধ পানি না পেয়ে দুর্ভোগে পানিবন্দি মানুষ।
বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পূর্বাভাস কেন্দ্র জানিয়েছে ঢাকার আশপাশের নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে। সূত্র : চ্যানেল ২৪।
খুলনা গেজেট / এমএম