খুলনার উপকূলীয় উপজেলা দাকোপে গভীর রাতে ভেঙে যাওয়া বেড়ীবাঁধ ১২ ঘন্টার মধ্যে আটকানো সম্ভব হলেও আবারও বেড়ীবাঁধে ভাঙ্গন প্রায় ২০০ মিটার। ফলে জনমনে ভাঙ্গন আতংক ছড়িয়ে পড়ছে। হাজারো বিঘা জমির আমন ফসলসহ ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির ঝুঁকিতে এলাকাবাসী।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার পানখালী ইউনিয়নের লক্ষিখোলা পিচের মাথার বেড়ীবাঁধ শুক্রবার রাত ১২ টার দিকে জোয়ারের পানির চাপে ভেঙে যায়। তাৎক্ষণিক পানখালী ইউনিয়নের লক্ষিখোলা ও কামারবাদ গ্রাম পানিতে প্লাবিত হয়। ঘটনার পর থেকে এলাকাবাসী বাঁধ আটকাতে তৎপর হয়। তৎক্ষনাৎ উপজেলা নির্বাহী অফিসার আসমত হোসেন খবর পেয়ে পানি উন্নয়ন বোর্ডকে বাঁধ সংস্কারে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলেন।
এরপর পানি উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত্বাবধানে এলাকাবাসীর শ্রম সহায়তায় রাত থেকে শুরু হয়ে শনিবার বেলা ১২ টার মধ্যে ভেঙে যাওয়া বাঁধ আটকালেও তা শনিবার গভীর রাতে বেড়ীবাঁধ টি আবারও ভেঙ্গে যায়। ফলে ইউনিয়নের হাজারো বিঘা আমন ধান, পুকুর ঘরবাড়ীর ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা পেলেও আবারও বেড়ীবাঁধ ভাঙ্গন নতুন করে দেখা গেছে। তবে এলাকাবাসী আপাতত পানি মুক্ত হলেও সংস্কার কাজ আরো মজবুত করতে না পারার কারণে ফের ভেঙে যাওয়ায় ঝুঁকিতে আছে বলে এলাকাবাসী জানা যায়।
স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান শেখ সাব্বির আহমেদ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, বাঁধটি দীর্ঘদিন ঝুঁকিপূর্ন থাকায় পানি উন্নয়ন বোর্ডকে সংস্কারের জন্য বার বার তাগাদা দেওয়া হয়। কিন্তু তাদের ধীর গতির কার্যক্রমের জন্য বাঁধটি ভেঙে যায়। শনিবার দিন ভর কাজ করে বাঁধ আটকানো হলেও তা শনিবার রাতের জোয়ারে প্রায় ২০০ মিটার বেড়ীবাঁধ ভাঙ্গন নতুন করে দেখা যায়।
খুলনা গেজেট/এনএম