দক্ষিণ আফ্রিকা পেসারদের চারণভূমি, এ কথা মানুষের মুখে মুখে ঘোরে প্রায়ই। সে বিবেচনাতেই হয়তো প্রোটিয়াদের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের একাদশে জায়গা মেলেনি টেস্ট স্পেশালিস্ট হিসেবে পরিচিত স্পিনার তাইজুল ইসলামের। দ্বিতীয় টেস্টে তাসকিন না থাকায় কপাল খোলে তার। দলে ফিরে তিনি বুঝিয়ে দিলেন তার গুরুত্ব, নিলেন পাঁচ উইকেট।
দক্ষিণ আফ্রিকায় যে স্পিনাররাও জয়-পরাজয়ে বড় অবদান রাখতে পারেন তার প্রমাণ তো কেশব মহারাজই। প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে একাই টাইগারদের ৭ উইকেট শিকার করে ম্যাচসেরা হন তিনি। ওই ম্যাচের পর বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টও হয়তো তাইজুলের অভাব উপলব্ধি করে, এদিকে তাসকিন না থাকায় একাদশে সুযোগও পেয়ে যান তিনি। তার ওপর রাখা আস্থার প্রতিদান প্রোটিয়াদের ৫ ব্যাটারকে সাজঘরে ফেরানো।
ডিন এলগারকে দিয়ে শুরু। তাইজুল এরপর আরও নিয়েছেন কিগান পিটারসেন, রায়ান রিকেলটন, উইয়ান মুল্ডার ও কেশভ মহজারাজের উইকেট। তাইজুলের শিকার হওয়া প্রত্যেক ব্যাটারই বিপজ্জনক হয়ে উঠছিলেন বাংলাদেশের জন্য। এর মধ্যে এলগার ৭০ রানে, পিটারসেন ৬৪ রানে, রিকেলটন ৪২ রানে, মুল্ডার ৩৩ রানে ও মহারাজ ৮৪ রানে আউট হয়েছেন।
টেস্ট ক্যারিয়ারে ইনিংসের হিসাবে এটি তাইজুলের দশম ৫ উইকেট শিকারের ঘটনা। এর মাধ্যমে ৩৬ টেস্টে ১৪৯ উইকেট শিকার করলেন তিনি। আর মাত্র একটি উইকেট নিতে পারলেই দেড়শোর মাইলফলকে পৌঁছাবেন তাইজুল। টেস্টে তাইজুলের চেয়ে বেশি উইকেট কেবল সাকিব আল হাসানের। বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার ৫৯ ম্যাচে নিয়েছেন ২১৫ উইকেট।
খুলনা গেজট/এএ