দলমত নির্বিশেষে সবার জন্য ঠিকানা নিশ্চিত করবে সরকার বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় দেশবাসীকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
বৃহস্পতিবার (২১ জুলাই) গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দেশে ভূমি ও গৃহহীন মানুষের জন্য আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত করার অংশ হিসেবে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ের আওতায় আরও ২৬ হাজার ২২৯টি ঘর হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী।
স্থানগুলো হচ্ছে- লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলাধীন চরকলাকোপা আশ্রয়ণ প্রকল্প, বাগেরহাট জেলার রামপাল উপজেলাধীন গৌরম্ভা আশ্রয়ণ প্রকল্প, ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল উপজেলাধীন চর ভেড়ামারা আশ্রয়ণ প্রকল্প, পঞ্চগড় জেলার পঞ্চগড় সদর উপজেলাধীন মহানপাড়া আশ্রয়ণ প্রকল্প ও মাগুরা জেলার মোহাম্মদপুর উপজেলাধীন জাঙ্গালিয়া আশ্রয়ণ প্রকল্প।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পঞ্চগড় ও মাগুরা জেলার সব কটি উপজেলাসহ ৫২টি উপজেলাকে গৃহ ও ভূমিহীন মুক্ত উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করেন।
এর আগে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সোমবার (১৮ জুলাই) এক প্রেস ব্রিফিংয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস সাংবাদিকদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী ভূমি ও গৃহহীন এসব মানুষের কাছে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে ঘরের দলিল ও চাবি হস্তান্তর করবেন। পাঁচটি জেলার পাঁচটি স্থানের সঙ্গে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ে দেশব্যাপী মোট ৬৭ হাজার ৮০০টি ঘর দেয়া হচ্ছে। এর মধ্যে ২০২২ সালের ২৬ এপ্রিল ৩২ হাজার ৯০৪টি ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে এবং বাকি ৮ হাজার ৬৬৭টি ঘর নির্মাণাধীন। প্রকল্পের আওতায় ২০২১-২২ পর্যন্ত ১ লাখ ৮৫ হাজার ১২৯টি বাড়ি বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে ২০২১ সালের ২৩ জানুয়ারি ৬৩ হাজার ৯৯৯ গৃহ ও ভূমিহীন পরিবার তাদের মাথার ওপর ছাদ পায়।
আর গত বছরের ২০ জুন আশ্রয়ণ প্রকল্পের দ্বিতীয় পর্যায়ে ৫৩ হাজার ৩৩০টি পরিবার ঘর পায়।
আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের তৃতীয় পর্যায়ে অধিকতর টেকসই ও জলবায়ু সহিষ্ণু করে গড়ে তুলতে ঘরগুলোর নকশা পরিবর্তন করা হয়। এতে ঘরগুলোর নির্মাণ খরচ বেড়ে যায়। আর এ জন্যই এখন গৃহ ও ভূমিহীন মানুষ দুই শতাংশ জমির ওপর আরও উন্নতমানের টিনশেডের আধাপাকা ঘর পাবে। ঘরগুলোকে অধিকতর টেকসই করে গড়ে তোলায় প্রতিটি ঘরের নির্মাণ ব্যয় ১ লাখ ৯১ হাজার টাকা থেকে বাড়িয়ে ২ লাখ ৫৯ হাজার ৫০০ টাকায় উন্নীত হয়। ঘরগুলো অধিকতর টেকসই করতে কড়ই কাঠ, পাথর ও রিইনফোর্স কংক্রিট কলাম (আরসিসি) পিলার ব্যবহার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
খুলনা গেজেট/ এস আই