খুলনা, বাংলাদেশ | ৪ আশ্বিন, ১৪৩১ | ১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ডেঙ্গুতে ২৪ ঘণ্টায় ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৮৮৭
  ঢাবির হলে পিটিয়ে যুবককে হত্যা: ছাত্রলীগ নেতাসহ আটক ৩, তদন্ত কমিটি গঠন
  বেক্সিমকো গ্রুপের সব সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য রিসিভার নিয়োগ দিতে পূর্ণাঙ্গ রায়ে বাংলাদেশ ব্যাংককে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট

দর্শনার্থীদের উপচে পড়া ভিড়ে মুখরিত পদ্মা পাড়

গেজেট ডেস্ক

পদ্মা সেতুতে সবকটি স্প্যান বসে যাওয়ায় শুক্রবার মুন্সীগঞ্জের লৌহজং উপজেলার মাওয়া প্রান্তে দর্শনার্থীদের উপচেপড়া ভিড় জমেছে। সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় কনকনে শীত আর কুয়াশা জড়ানো আবহাওয়া উপেক্ষা করে ঢাকাসহ নানা এলাকার মানুষ ছুটে আসেন পদ্মাপাড়ে।

স্থানীয়রা জানায়, দর্শনার্থীদের ভিড়ে মাওয়া চৌরাস্তা থেকে মাওয়া মৎস্য আড়ত হয়ে নদীর পাড় পর্যন্ত এক কিলোমিটার সড়কে যানজট লেগে গেলে ট্রাফিক পুলিশকে হিমশিম খেতে হয়। অধিকাংশ দর্শনার্থী ব্যক্তিগত গাড়ি ও মোটরসাইকেলে চেপে পদ্মা সেতু দেখতে আসেন। শুক্রবার রাত সোয়া আটটায়ও মাওয়া প্রান্তে দর্শনার্থীদের আনাগোনা অব্যাহত ছিল। দর্শনার্থীরা পদ্মা সেতুর অদূরে থেকে মোবাইলে ছবি তুলে, ট্রলার, নৌকা ও স্পিডবোটে করে সেতুর খুঁটি ও স্প্যানের কাছাকাছি গিয়ে সময় কাটিয়েছেন। প্রায় সবাই এসেছেন দলবেঁধে, পরিবার নিয়ে।

ঢাকার উত্তরা থেকে ব্যবসায়ী মো. নয়ন এসেছেন পাঁচ বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে। জুমার নামাজ পড়ে দুপুরে খেয়েদেয়ে তারা রওনা দেন মাওয়ার উদ্দেশে। ছুটির দিন ও ঢাকা-মাওয়া সড়ক এক্সপ্রেসওয়েতে যানজট না থাকায় বিকেল তিনটার মধ্যেই পৌঁছে যান সেতুর কাছে।

(adsbygoogle = window.adsbygoogle || []).push({});

নয়ন বলেন, আমাদের সবার বাড়ি উত্তর বঙ্গে। আমাদের দেশে এতবড় সেতু হচ্ছে তাই নিজের চোখে দেখতে এলাম।

ঢাকার যাত্রাবাড়ি থেকে তিন বন্ধুকে নিয়ে মোটরসাইকেলে চেপে আসা একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থী রবিন নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, পদ্মা সেতুর কথা এতদিন শুধু বন্ধুদের কাছে শুনেছি, ফেসবুক ও টিভিতে দেখেছি; এখন বাস্তবে দেখছি। বিশ্বাস করুন, আমার কাছে ঈদের খুশির চেয়েও বেশি মনে হচ্ছে। আমরা বাংলাদেশিরাও পারি, সেটা দেখিয়ে দিয়েছি।

পুলিশের এসবির এসআই মেহেদী হাসান মেহেদী স্ত্রী ও দুই মেয়েকে নিয়ে এসেছেন সেতু দেখতে। তিনি সেতুর পূর্ণাঙ্গ কাঠামো দেখে এতই আবেগাপ্লুত যে, ভাষা খুঁজে পাচ্ছিলেন না। তবু দম নিয়ে বললেন, আমার বাড়ি পটুয়াখালীতে। ফেরি দিয়ে পারাপারে আর ভালো লাগে না। আজ সেতুর স্ট্রাকচার দেখে হৃদয়-মন ভরে গেছে। বাংলাদেশি হিসেবে আমি গর্বিত।

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!