সুপার টুয়েলভে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৪৪ রানের টার্গেট দিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। টস হেরে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেটে ১৪৩ রান করে ক্যারিবিয়রা।
দুবাই আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে দুই ক্যারিবিয়ান ওপেনার এভিন লুইস ও লেন্ডল সিমন্সের ব্যাটে ভর করে দারুণ সূচনা পায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সুপার টুয়েলভে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা ধীরে হলেও পরে রান তোলার গতি বাড়িয়ে দেন এই দুই ব্যাটসম্যান। প্রোটিয়া বোলারদের শাসন করে ফিফটি তুলে নিয়েছেন এভিন লুউস। লু্ইস ব্যাট হাতে তাণ্ডব চালালেও অন্য প্রান্তে ধীরগতিতে রান তুলছেন সিমন্স। ৩৫ বলে ৫৬ রান করে ফিরে যান তিনি।
সিমন্স ফেরার পর বেশিদূর যেতে পারেননি নিকোলাস পুরান। ব্যাট হাতে তিনি করেন ৭ বলে ১২ রান। এছাড়া ওপেনিংয়ে নামা সিমন্স অনেকটা ধীর গতিতে খেলেন। ব্যাট হাতে তিনিও আশা জাগাতে পারেননি। ৩৫ বল খেলে তিনি করেছেন ১৬ রান।
এরপর ভালো জুটি গড়ার আভাস দেন ক্যারিবিয়ান ব্যাটিং বিস্ময় ক্রিস গেইল এবং কাইরন পোলার্ড। দুজনই বড় শট খেলতে থাকেন। কিন্তু প্রোটিয়াদের বোলারদের চতুরতায় সুবিধা করতে পারেননি গেইল ফিরে গেছেন ১২ বলে ১২ রান করে। প্রিটোরিয়াসের বলে ক্যাচ তুলে দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি।
এরপর ক্রিজে নেমে থিতু হতে পারেননি হার্ড হিটার আন্দ্রে রাসেলও। ৫ রান করেই ফিরে যেতে হয় তাকে। তবে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন পোলার্ড। তার সংগ্রহ ২০ বলে ২৬ রান। শেষ দিকে প্রিটোরিয়াসের দারুণ বোলিংয়ে খেই হারিয়ে ফেলে ক্যারিবিয়রা। ফলে ১৪৩ রানেই থেমে যায় ক্যারিবিয়দের ইনিংস।
প্রোটিয়াদের হয়ে প্রিটোরিয়াস নেন ৩টি উইকেট। এছাড়া কেশভ মহারাজ নেন ২টি উইকেট। এছাড়া কাগিসো রাবাদা ১টি, নর্টজে নেন ১টি করে উইকেট।
এর আগে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা। উইকেট ও আবহাওয়ার কথা বিবেচনা করে আগে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় প্রোটিয়ারা।
এই ম্যাচে দুই দলই একটি করে পরিবর্তন নিয়ে নামে। ব্যক্তিগত কারণে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন কুইন্টন ডি কক। তার জায়গায় নেওয়া হয়েছে রেজা হেন্ডরিকসকে। অন্যদিকে ওবেদ ম্যাকয়কে বসিয়ে হেইডেন ওয়ালশকে নিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ
টি-টোয়েন্টিতে এখন পর্যন্ত ১৫ বার মুখোমুখি হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ। এর মধ্যে ক্যারিবিয়দের জয় ৬টি ম্যাচে। বিপরীতে প্রোটিয়াদের জয় ৯ ম্যাচে।