পদ্মা সেতু চালু হলে বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যোগাযোগ ব্যবস্থায় যুগান্তকারী পরিবর্তন ঘটবে। পদ্মা সেতুর সুযোগ-সুবিধা সবার আগে এই অঞ্চলের মানুষ পাবে। বিশেষ করে রাজধানীর সাথে বাগেরহাটবাসীর যোগাযোগ বৃদ্ধি পাবে অনেকাংশে। যোগাযোগ ব্যবস্থা বৃদ্ধির পাশাপাশি জেলার মানুষের আর্থ সামাজিক উন্নয়নও ঘটবে।
পদ্মা সেতু চালু হলে এই অঞ্চলে কি ধরণের পরিবর্তন ঘটবে, এমন প্রশ্নে বাগেরহাট বাস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক তালুকদার আব্দুল বাকি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, বর্তমান সময়ে বাগেরহাটের মানুষের ঢাকা যেতে হলে ফেরি, স্পিড বোট বা লঞ্চে পদ্মা নদী পার হয়ে যেতে হয়। এর ফলে বাগেরহাট থেকে ঢাকা যেতে এবং ঢাকা থেকে বাগেরহাট যেতে অনেক বেশি সময় লাগে। শুধু ঢাকা নয়, খুলনা-বরিশাল ছাড়া দেশের বেশিরভাগ বড় শহরে যেতে পদ্মা নদী পাড় হতে হয়। পদ্মা পার হওয়ার সময়, ঘাটে অনেক বিড়ম্বনায় পড়তে হয় যাত্রীদের। সেতু চালু হলে এই বিড়ম্বনার হাত থেকে যাত্রীরা যেমন বাঁচবে, তেমনি সময়ও বাঁচবে আমদের।
সেই সাথে পরিবহন সেক্টরে এই অঞ্চলে বিনিয়োগ বাড়বে কয়েকগুন। ফেরী পারাপার ও ভাঙ্গাচোরা রাস্তার জন্য অনেক সময় ভাল পরিবহন আসত না। সেতু চালু হলে বাগেরহাটে ভাল ভাল পরিবহন আসবে বলে দাবি করেন তিনি।
তালুকদার বাকি বলেন, আমাদের স্বপ্ন ছিল পদ্মা সেতুর উপর দিয়ে ঢাকায় যাব। প্রধানমন্ত্রীর চেষ্টায় আমাদের সেই স্বপ্ন পূরণ হয়েছে। এর ফলে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নের পাশাপাশি এই অঞ্চলে উৎপাদিত বিভিন্ন পন্যের সঠিক দাম পারে কৃষক। কারণ সেতু হলে বাগেরহাটে উৎপাদিত সবজিসহ অন্যান্য কাঁচামাল পূর্বের থেকে কম সময় ও কম পরিবহন খরচে ঢাকায় যেতে পারবে। সব মিলিয়ে আমি আশাকরি পদ্মা সেতু আমাদের জন্য আশির্বাদ স্বরূপ।
খুলনা গেজেট/ টি আই