খুলনা, বাংলাদেশ | ৩০ কার্তিক, ১৪৩১ | ১৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  খুলনার বড় বাজারের পাটের বস্তার গোডাউনে আগুন, নিয়ন্ত্রণে ফায়ার সার্ভিস
  আজারবাইজানে কপ-২৯ জলবায়ু সম্মেলন শেষে দেশে ফিরেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মার্চের শেষে খুলবে : প্রধানমন্ত্রী

‘দক্ষিণাঞ্চলে আরেকটি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র হ‌বে’

গেজেট ডেস্ক

প্রধানমন্ত্রী বলেন, পাবনার রূপপুরের পাশাপাশি দক্ষিণাঞ্চলে আরেকটি পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের চিন্তাভাবনা আছে সরকারের।

পাবনার রূপপুরের পর দেশের দক্ষিণাঞ্চলে আরেকটি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করতে চায় সরকার।

বৃহস্পতিবার সকালে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক, বিজ্ঞানী, গবেষক ও বিজ্ঞান শিক্ষার্থীদের মধ্যে ‘বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ’, এনএসটি ফেলোশিপ এবং গবেষণা-অনুদান প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা জানান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গণভবন থেকে অনুষ্ঠানে ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিলেন সরকারপ্রধান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা ইতিমধ্যেই পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণকাজ শুরু করেছি। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হচ্ছে। এখানে প্রায় ২৪০০ মেগাওয়াটের মতো বিদ্যুৎ উৎপাদন হবে। প্রথমটা করা হয়েছে রূপপুরে।

‘এটা দীর্ঘদিনের প্রতীক্ষিত একটি প্রকল্প। এর পাশাপাশি দক্ষিণাঞ্চলে আরেকটি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের চিন্তাভাবনা আছে এবং সেখানে আমরা জায়গাও দেখছি, জায়গা খুঁজছি। ওই অঞ্চলটা আমরা আরও উন্নত করতে চাই।’

২০১৫ সালে রাশিয়ার প্রতিষ্ঠান রোসাটমের সঙ্গে দেশের প্রথম পরমাণু বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণে চুক্তি করে বাংলাদেশের পরমাণু শক্তি কমিশন। পাবনার রূপপুরে ১ লাখ ১ হাজার ২০০ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ হচ্ছে এ বিদ্যুৎকেন্দ্র।

এটির নির্মাণ শেষ হলে দুটি ইউনিটে ১২০০ মেগাওয়াট করে মোট ২৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাওয়া যাবে। সরকারের প্রাক্কলন অনুযায়ী, প্রথম ইউনিট থেকে ২০২৩ আর দ্বিতীয়টি থেকে ২০২৪ সালে বিদ্যুৎ মিলবে।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ইতিমধ্যে দেশে হাইড্রোজেন শক্তি গবেষণাগার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। জাতীয় জিন ব্যাংক স্থাপনের কাজ দ্রুত সম্পন্ন হবে। আমরা দেশের সকল বিভাগীয় শহরে নভোথিয়েটার করে দেব। ঢাকায় করা হয়েছে। পরবর্তী সময়ে আটটি বিভাগ রয়েছে; সব বিভাগে একটি করে নভোথিয়েটার করব, যাতে আমাদের শিশু থেকে শুরু করে সকলেই আমাদের বিজ্ঞানের বিষয়গুলো দেখতে পারে, জানতে পারে।’

শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেয়া বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা জাতির পিতার পদাঙ্ক অনুসরণ করে শিক্ষানীতি করে শিক্ষাকে বহুমুখী করেছি। দক্ষ মানবসম্পদ গড়ে তুলছি। আমাদের সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখতে হয়নি। শুধু করোনা মহামারি পরিস্থিতির কারণে গত বছর এ সমস্যা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সুস্থতার জন্য বন্ধ রাখতে হয়েছে। অবশ্য মার্চের শেষে খুলে দেয়া হবে।’

 

খুলনা গেজেট/এনএম




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!