ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের ত্রিশালে যাত্রীবাহী একটি মাইক্রোবাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মহাসড়কের পাশে পড়ে তাৎক্ষণিক আগুন ধরে যায়।
রোববার (১২ মার্চ) দিবাগত রাত দুইটার দিকে ত্রিশাল উপজেলার রাঙামাটি নামক স্থানে এ দুঘর্টনা ঘটে। এতে মাইক্রোবাসের চার যাত্রী আগুনে পুড়ে ছাঁই হয়ে যায়। অগ্নিদগ্ধে আহত ৭ জনকে আশংকাজনক অবস্থায় ত্রিশাল ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। নিহত ও আহতদের পরিচয় তাৎক্ষণিক পাওয়া যায়নি।
আহত এক যাত্রী জানান, সকল যাত্রীই জেলার ধোবাউড়া উপজেলা থেকে রওনা হয়ে ঢাকার দিকে যাচ্ছিলেন। হঠাৎ বিকট শব্দ হয় এরপর আর কিছু বলতে পারেন নি তিনি।
ত্রিশাল ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার আবুল কালাম জানান, খবর পেয়ে তারা প্রথমে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ও উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করে। আহতদের উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। এছাড়াও দুই নারীসহ পুড়ে যাওয়া চারজনের মরদেহ গাড়ির ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।
ত্রিশাল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মাইন উদ্দিন জানান, আহতদের চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে এবং নিহতের মরদেহ শনাক্তে পরিবারের সদস্যদের খবর দেয়া হয়েছে।
অপরদিকে বগুড়ার নন্দীগ্রামে পিকআপভ্যান ও সিনজিচালিত অটোরিকশার সংঘর্ষে তিনজন নিহত হয়েছেন। এ সময় আহত হয়েছেন আরও তিনজন। সোমবার (১৩ মার্চ) সকাল ৯টার দিকে এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতরা হলেন, নন্দীগ্রাম উপজেলার দামগাড়া গ্রামের মৃত আবু তালেবের ছেলে অটোরিকশা চালক হেফজুল ইসলাম (৪৫)। ওমরপুর গ্রামের তানসেন আলীর ছেলে আব্দুল আলিম (৩) ও নামুইট গ্রামের সাখাওয়াত হোসেনের ছেলে রাজশাহী সিটি কলেজের শিক্ষার্থী মিনহাজুল ইসলাম (২২)।
এই দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ছয়জন । তাদের মধ্যে পিকআপ ভ্যানের চালক ও সহকারীসহ চারজন সিএনজি চালিত অটোরিকশার যাত্রী। বর্তমানে তারা বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ (শজিমেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
কুন্দারহাট হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) তোফাজ্জল হোসেন জানান, নন্দীগ্রাম থেকে যাত্রী নিয়ে সিএনজি চালিত অটোরিকশা বগুড়া শহর দিকে যাচ্ছিল। নাটরোগামী পিকআপ ভ্যানের সঙ্গে কুন্দারহাট বাসস্ট্যান্ড এলাকায় মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে অটোরিকশা দুমড়ে মুচড়ে গিয়ে ঘটনাস্থলেই চালকসহ তিনজন মারা যান। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা পিকআপের চালক- হেলপারসহ আহত অবস্থায় ছয়জনকে উদ্ধার করে শজিমেক হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
তিনি জানান, অটোরিকশা এবং পিকআপ ভ্যান পুলিশ হেফাজতে আছে। আইনগত প্রক্রিয়া শেষে মরদেহ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
খুলনা গেজেট/এমএম