খুলনা, বাংলাদেশ | ৬ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২১ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ডেঙ্গুতে একদিনের ৯ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ১ হাজার ২১৪

ত্যাগের মহিমায় উদ্ভাসিত হওয়ার দিন ঈদুল আযহা

নিজস্ব প্রতিবেদক

ঈদুল আযহা মানে ত্যাগের উৎসব। মুসলিম সম্প্রদায়ের বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা বুধবার (২১ জুলাই)। যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা ও ভাবগাম্ভীর্যের মধ্য দিয়ে খুলনাসহ সারাদেশে মুসলিম সম্প্রদায় ঈদুল আজহা উদযাপন করবে। মহান আল্লাহর অপার অনুগ্রহ লাভের আশায় ঈদুল আযহার নামাজ শেষে ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা সামর্থ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি করবেন। তবে ঈদের আনন্দ অনেকটাই ম্লান করে দিয়েছে বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাস।

মহামারি করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে থমকে আছে পুরো পৃথিবী। প্রায় দেড় বছর যাবৎ বিশ্বজুড়ে বিপর্যস্ত জনজীবন। এই প্রতিকূল সময়ে আবারও এসেছে মুসলমানদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব ঈদুল আযহা। আত্মত্যাগ, সেবা, দান এবং মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটানো এই পবিত্র ঈদ সবার মাঝেই আনন্দের জোয়ার বয়ে নিয়ে আসে। কিন্তু এই প্রতিকূল পরিস্থিতিতে প্রায় সবার মধ্যেই ঈদ আনন্দের ভাটা পড়েছে। এবার সীমিত আকারে হজ পালন হলেও দেশে ঈদুল আযহা উদযাপনে আছে স্বাস্থ্যবিধি পালনের নির্দেশনা।

ঈদুল আযহা উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পৃথক বাণী দিয়েছেন।

এদিকে খুলনায় যথাযোগ্য মর্যাদায় পবিত্র ঈদ-উল-আযহা উদযাপনের লক্ষ্যে সরকারিভাবে কিছু নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।

কর্তৃপক্ষের বিনা অনুমতিতে যত্রতত্র পশুর হাট স্থাপন করা যাবে না। ক্রেতা- বিক্রেতাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে মাস্ক পরে পশুর হাটে প্রবেশ করতে হবে। অনলাইনে পশু ক্রয়ে কোন হাসিল আদায় করা যাবে না।

ঈদে আইনশৃংঙ্খলা রক্ষার্থে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মহানগর ও মহানগরের বাইরের বিভিন্ন স্পটে বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। ঈদুল আযহার সময় আতশবাজি ও পটকা ফোটানো, রাস্তা বন্ধ করে স্টল তৈরি, উচ্চস্বরে মাইক, ড্রাম বাজানো, রঙিন পানি ছিটানো এবং বেপরোয়াভাবে মটর সাইকেল চালানো যাবে না।

ঈদ উপলক্ষে রাস্তায় যত্রতত্র গেট নির্মাণ, প্যানা বা ব্যানার টাঙালে রাস্তা সংকুচিত হয়ে দুর্ঘটনার আশংকা থাকে এবং শহরের সৌন্দর্য্য নষ্ট হয়। এজন্য গেট নির্মাণ, প্যানা বা ব্যানার টাঙানো যাবে না।

ঈদ উপলক্ষ্যে যানবাহানে অতিরিক্ত ভাড়া আদায়সহ অতিরিক্ত যাত্রীবহন ও যাত্রী হয়রানি করা যাবে না। বাস টার্মিনালের শৃঙ্খলা বজায় রাখাসহ যাত্রীদের নির্বিঘ্নে চলাচলে সহায়তা করতে হবে। যানবাহনে স্বাস্থ্যবিধি মেনে সিটের অর্ধেকের বেশি যাত্রী উঠানো যাবে না। প্রয়োজনে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হবে।

ঈদগাহ বা খোলা স্থানে ঈদের জামাত আদায়ে নিষেধাজ্ঞা না থাকলেও করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধকল্পে মসজিদে ঈদের নামাজ আদায়ে উৎসাহিত করা হয়েছে।
প্রায় চার হাজার বছর আগে আল্লাহ পাকের সন্তুষ্টি লাভের জন্য হযরত ইব্রাহিম (আঃ) নিজ পুত্র হযরত ইসমাইলকে (আঃ) কোরবানি করার উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কিন্তু পরম করুণাময়ের অপার কুদরতে হযরত ইসমাইল (আঃ)-এর পরিবর্তে একটি দুম্বা কোরবানি হয়ে যায়। হযরত ইব্র্রাহিম (আঃ)-এর ত্যাগের মহিমার কথা স্মরণ করে বিশ্বব্যাপী মুসলিম সম্প্রদায় জিলহজ মাসের ১০ তারিখে আল্লাহ পাকের অনুগ্রহ লাভের আশায় পশু কোরবানি করে থাকে।

আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান মুসলিমের জন্য আল্লাহ কোরবানি ফরজ করে দিয়েছেন। এ জন্য ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে কোরবানি করাই এ দিনের উত্তম ইবাদত। সেই ত্যাগ ও আনুগত্যের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে সারাদেশের মুসলিম সম্প্রদায় বুধবার দিনের শুরুতেই মসজিদে সমবেত হবেন এবং ঈদুল আযহার দু’রাকাত ওয়াজিব নামাজ আদায় করবেন। নামাজের খুতবায় খতিব তুলে ধরবেন কোরবানির তাৎপর্য। তবে এবার করোনার মতো দুর্যোগময় পরিস্থিতিতে ভিন্ন পরিবেশে কোরবানির ঈদ হওয়ায় অন্যান্য বারের চেয়ে পশু কোরবানি কিছুটা কম হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!