মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে বিজয় লাভের পর জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির কার্যক্রমে কৃষি ও কৃষকের উন্নয়নে কাজ করতে ১৯৭২ সালের ১৯ এপ্রিলে বিশিষ্ট আইনজীবী সিরাজুল ইসলাম খানকে সভাপতি করে বাংলাদেশ কৃষক লীগ প্রতিষ্ঠা করেন। এর পর থেকে বাংলাদেশ কৃষক লীগ বাংলাদেশের কৃষকদের অধিকার রক্ষায় এবং স্বৈরাচার বিরোধী যে কোন আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।
শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টায় ৩০নং ওয়ার্ড কমিউনিটি সেন্টারে অনুষ্ঠিত ৩০নং ওয়ার্ড কৃষক লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বর্তমান সরকার কৃষক-শ্রমিক মেহনতি মানুষের সরকার, কৃষকবান্ধব সরকার। কৃষকের অধিকার রক্ষা করাই আওয়ামী লীগ সরকারের মূল লক্ষ্য। কৃষকের কল্যাণে বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর নানা পদক্ষেপ নিয়েছে। যার ফলশ্রুতিতে কৃষি উৎপাদন বেড়েছে। আজ দেশ খাদ্য উৎপাদনে শুধু স্বয়ংসম্পূর্ণই নয়, উদ্বৃত্তের দেশ। আমাদের কারও কাছে খাদ্যের জন্য হাত পাততে হয় না। আমরা উন্নত হব, শিল্পায়নে যাব। কিন্তু কৃষককে ত্যাগ করে নয়, কৃষিকে ত্যাগ করে নয়। কারণ কৃষি আমাদের বাঁচিয়ে রাখে, খাদ্য দেয়, পুষ্টি দেয়- সবকিছু করে। দেশের এক ইঞ্চি জায়গাও যেন অনাবাদি পড়ে না থাকে। কৃষিকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।
তিনি আরো বলেন, মহানগর কৃষক লীগের ৩০নং ওয়ার্ডের সম্মেলন হলো প্রথম সম্মেলন এর ধারাবাহিকতায় প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে কমিটি গঠন করতে হবে। প্রত্যেকটি ওয়ার্ডে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের লোকদের নিয়ে কৃষক লীগ গঠন করতে হবে। দলে কোন অনুপ্রবেশকারী, চাঁদাবাজ, সন্ত্রাসী, মাদক ব্যবসায়ী, ভূমিদস্যুদের স্থান দেয়া যাবে না। ত্যাগী, কর্মঠ, মুজিব আদর্শের সৈনিকদের নিয়ে কৃষক লীগ গঠন করতে হবে। কৃষক লীগের সদস্যদের অসহায় মানুষ ও কৃষকদের কল্যাণে কাজ করতে হবে। দেশের কৃষির উন্নয়নে কৃষকদের একত্রিত করে কাজ করতে হবে। কৃষকলীগকে সুুসংগঠিত করে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ গড়তে তার সুযোগ্য কন্যা জননেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে।
সম্মেলনে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা। সম্মেলন উদ্বোধন করেন কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শরীফ আশরাফ আলী। প্রধান বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যা. নাজমুল ইসলাম পানু। বিশেষ অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি রকিফুর রহমান রিপন, মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, মহানগর আওয়ামী লীগের উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক মফিদুল ইসলাম টুটুল, সদস্য এসএম আকিল উদ্দিন, কেন্দ্রীয় কৃষক লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক হালিমা রহমান, জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মানিকুজ্জামান অশোক, মহানগর যুব লীগের আহবায়ক সফিকুর রহমান পলাশ, ৩০নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. ফারুক হোসেন, সাধারণ সম্পাদক মো. সিহাব উদ্দিন, মহানগর ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মাহমুদুর রহমান রাজেস। সম্মেলনে সভাপতিত্ব করেন মহানগর কৃষক লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক এ্যাড. একেএম শাহজাহান কচি। মহানগর কৃষক লীগের সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব অধ্যা. এবিএম আদেল মুকুল ও সদস্য কানাই রায়ের সঞ্চালনায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহানগর কৃষক লীগের সদস্য মো. মোস্তাকিম লালু, শেখ হারুন মানু, মো. রাজু আহমেদ, মো. শহিদুল হাসান, মো. আইউব আলী, অধ্যাপক প্রশান্ত গাইন, মো. আলমগীর মল্লিক, হেলালুল রহমান রিপন, মনিরুল ইসলাম ডাবলু, রেজওয়ান আকুঞ্জি রাজা, অনিক রায়, মো. আবু নাঈম, জিল্লুর রহমান ডালিম, মুরাদুল ইসলাম খলিফা, দুলাল হাওলাদার, মো. হাসমত হাওলাদার, মো. সাদ্দাম মিনা, শেখ আকরাম হোসেন, শেখ তানভির হোসেন সুজন, মো. বিপ্লব হোসেন, মোল্লা মো. সেলিম, মো. রফিকুজ্জামান রিপন সহ ওয়ার্ডের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ। সম্মেলন শেষে বিশিষ্ট শিল্পীদের অংশগ্রহনে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক আনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।