খুলনা, বাংলাদেশ | ৭ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২২ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  মার্কিন শ্রম প্রতিনিধি দল ঢাকা আসছে আজ

তৈরি পোশাকসহ সব রপ্তা‌নি‌তে নগদ সহায়তা কমাল সরকার

গেজেট ডেস্ক

নতুন বছরের শুরুতে তৈরি পোশাক, কৃষি, চামড়াসহ সব ধরনের রপ্তা‌নি‌তে নগদ সহায়তা কমিয়েছে সরকার। খাতভেদে সর্বোচ্চ ৫ শতাংশ পর্যন্ত এ সহায়তা কম পাবেন রপ্তা‌নিকারকরা। নতুন নির্দেশনা চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।

মঙ্গলবার (৩০ জানুয়ারি) বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রা নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত সার্কুলার জারি করা হয়েছে।

নতুন ঘোষণা অনুযায়ী— ৪৩টি পণ্য ও খাতকে রপ্তানির বিপরীতে ভর্তুকি বা নগদ সহায়তা দেওয়া হ‌বে। তবে কমানো হয়েছে সহায়তার হার।

রপ্তানি প্রণোদনা বা নগদ সহায়তা প্রদান করছে। বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিও) বিধিবিধান অনুসারে বিষয়টি রপ্তানি নির্ভর সাবসিডি হিসেবে বিবেচিত হয় এবং চুক্তি অনুযায়ী স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণ হলে কোনো রপ্তানি প্রণোদনা ও নগদ সহায়তা প্রদান করা যাবে না। ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণ ঘটতে যাচ্ছে। এরূপ উত্তরণ পরবর্তী সময়ে রপ্তানি প্রণোদনা ও নগদ সহায়তা সম্পূর্ণভাবে একত্রে প্রত্যাহার করা হলে রপ্তানি খাত চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে পারে। এসব বিবেচনায় চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে বিভিন্ন খাতে নগদ সহায়তার হার অল্প অল্প করে হ্রাসের বিষয়ে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ জুন পর্যন্ত জাহাজি করা পণ্যের ক্ষেত্রে বিদ্যমান ৪৩টি খাতে রপ্তানি প্রণোদনা ও নগদ সহায়তা দেওয়া হবে। এজন্য বেশ কিছু শর্ত দেওয়া হয়েছে। নতুন নির্দেশনায় দশমিক ৫০ শতাংশ থেকে স‌র্বোচ্চ ১৫ শতাংশ হারে এ নগদ সহায়তা পাবেন রপ্তা‌নিকারকরা। এতদিন যা ছিল ১ শতাংশ থেকে স‌র্বোচ্চ ২০ শতাংশ।

নতুন নির্দেশনায় তৈরি পোশাক খাতে দশমিক ৫০ শতাংশ হারে নগদ সহায়তা পাবেন পোশাক রপ্তা‌নিকারকরা; যা আগে ছিল ১ শতাংশ। চামড়া ও চামড়াজাত পণ্যের নগদ সহায়তা ১৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১২ শতাংশ করা হয়েছে। পাট পণ্যে ভর্তুকি ২০ শতাংশ থেকে ১৫ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। প্লাস্টিক পণ্য রপ্তানিতে ভর্তুকি ছিল ১০ শতাংশ, এখন পাবে ৮ শতাংশ। এ ছাড়া অন্যান্য সব খাতেই রপ্তানিতে ভর্তুকি কমিয়েছে সরকার।

নতুন নির্দেশনা অনুযায়ী, রপ্তানিমুখী দেশীয় বস্ত্র খাতে শুল্ক বন্ড ও ডিউটি ড্র–ব্যাকের পরিবর্তে বিকল্প নগদ সহায়তা ৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করা হয়েছে। ইউরো অঞ্চলে বস্ত্র খাতের রপ্তানিকারকদের প্রণোদনার হার ৩ শতাংশের অতিরিক্ত বিশেষ সহায়তাও ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করা হয়েছে। নীট, ওভেন ও সোয়েটারসহ তৈরি পোশাক খাতের সকল ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প অতিরিক্ত ৪ শতাংশই বহাল আছে। তবে নতুন পণ্য বা নতুন বাজারে ৪ শতাংশ থেকে কমিয়ে করা হয়েছে ৩ শতাংশ। তৈরি পোশাক খাতে বিশেষ নগদ সহায়তা ১ শতাংশ থেকে কমিয়ে শূন্য দশমিক ৫০ শতাংশ করা হয়েছে। তবে এসব খাতে নির্ধারিত পাঁচটি এইচএস কোডের রপ্তানির বিপরীতে কোনো নগদ সহায়তা মিলবে না।

রপ্তানি সহায়তা কমানোর বিষয়ে জানতে চাইলে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় নিট পোশাকশিল্পের মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতির মোহাম্মদ হাতেম ঢাকা পোস্টকে বলেন, রপ্তানির সহায়তা কমানো হয়েছে এটার চেয়ে বড় সমস্যা কয়েকটি ক্যাটাগরির পণ্য সহায়তা থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। তার মানে টি-শার্টসহ রপ্তানির বড় সব পণ্যে সুবিধা থাকছে না। সরকার দেশ কিভাবে চালাবে এটা তাদের বিষয়। আমাদের কোনো কথার মূল্য নেই। কোথায়ও বলার জায়গাও নেই।

তৈরি পোশাকের ভবিষ্যৎ অন্ধকার জানিয়ে এ উদ্যোক্তা বলেন পোশাক খাত ধ্বংস করতে কেউ কেউ পায়তারা করছে। তাদের পরামর্শে এ সিন্ধান্ত। আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করে সরকারকে জানাবো। ইন্ডিয়া অস্ট্রেলিয়াসহ কয়েকটা দেশে রপ্তারিতে সহায়তা বন্ধ করা হয়েছে। এশিয়ার মধ্যে ভারত বড় বাজার। এখানে সুবিধা বন্ধ করলে আমাদের জায়গা আর কোথায় থাকবে?

খুলনা গেজেট/ এএজে




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!