ডিজেলের মূল্য প্রতি লিটারে ৩২ টাকা বৃদ্ধিতে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়তে যাচ্ছে কৃষি খাতে। ডিজেলের মূল্য বৃদ্ধির ফলে ধানসহ অন্যান্য ফসল উৎপাদনে খরচ বেড়ে যাওয়ায় কৃষকের এখন মাথায় হাত।এমনিতেই খরার বছর। এরমধ্যে চরমে বিদ্যুৎ বিভ্রান্ট। কয়েকদিন আগে বেড়েছে ইউরিয়া সারের দাম। এবার বাড়ল তেলের দাম। এতে ধানসহ বিভিন্ন চাষ নিয়ে বিপাকে চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার কৃষকেরা।
কৃষকেরা বলছেন, এবার চাষের খরচ অনেক বাড়বে। কারণ এ বছর খরা চলছে। আউশ এবং আমন ধান সেচের পানি দিয়ে রোপন করা হচ্ছে। নিয়মিত সেচ দিতে হচ্ছে। তবে লোডশেডিংয়ের কারণে সবসময় মোটরের (নলকূপের) সেচ মিলছে না। ডিজেলচালিত মেশিনের মাধ্যমে খেতে সেচ দিতে হচ্ছে। এরমধ্যে তেলের দাম বাড়ল। কিছুদিন আগে সারের দাম বাড়ল। খরচ নিয়ে চিন্তিত।
কয়া গ্রামের কৃষক নজরুল বলেন, সরকার আউশ ও আমন ধানের মৌসুমের মাঝামাঝি সময় তেলের দাম বাড়িয়ে কৃষকদের বিপদে ফেলেছে।মেশিনের মালিকেরা এবার সেচের টাকা বাড়াবেন।
যাদবপুর গ্রামের কৃষক আনোয়ার বলেন, খরার বছরে তেলের দাম বৃদ্ধিতে কৃষকেরা বিপদে পড়বে। ধানসহ ফসলের দাম না বাড়লে কৃষকেরা লোকসানের মুখে পড়বে। সরকারের উচিত কৃষকের জন্য ভর্তুকির ব্যবস্থা করা।
একই গ্রামের বাসিন্দা মো. জাহাঙ্গীর বলেন, একবারে তেলের দাম এতো বাড়ানো ঠিক হয়নি। এতে চাষিরা বিপদে পড়বে। ভুর্তকির মাধ্যমে চাষিদের তেল ও সারের ব্যবস্থা করতে সরকারের কাছে আহবান জানান তিনি।
লক্ষ্মীপুর গ্রামের বাসিন্দা চাষি রমজান বলেন, কিছুদিন আগে সারের দাম বাড়ল। কয়েকদিনের মধ্যে ডিজেলের দাম বাড়ল। তেলের দাম বাড়াল কারণে শ্রমিক ও পরিবহণ খরচ বাড়ছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এলাকার অধিকাংশ কৃষক শ্যালো মেশিনের মাধ্যমে চাষ করেন। এ জন্য ডিজেল প্রয়োজন।
এ বিষয়ে জানতে জীবননগর উপজেলা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তারকে ফোন করা হলে তাঁর মা রিসিভ করে জানান, তিনি অসুস্থ, হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর উপ-পরিচালক বিভাস চন্দ্র সাহা বলেন, কৃষি অফিস দীর্ঘদিন থেকে অতিরিক্ত ইউরিয়া ব্যবহার বন্ধে প্রচার চালাচ্ছে। ইউরিয়ার দাম বৃদ্ধিতে চাষে কোনো প্রভাব পড়বে না। কৃষকেরা ইউরিয়ার পরিবর্তে ডিএপি সার ব্যবহার করতে পারবে। তেলের দাম বৃদ্ধির বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়ে কৃষকদের কীভাবে সহযোগিতা করা হবে, সেই বিষয়ে এখনো কোনো নির্দেশনা পাইনি। নির্দেশনা পেলে কৃষকদের সেভাবে সহযোগিতা করা হবে।
খুলনা গেজেট/ টি আই