মায়ের মরদেহ দাফন করতে আসার পথে লাশ হলো একই পরিবারে চারজন। আজ সকালে শিবচর বাংলাবাজার শিমুলিয়া নৌরুটে বালুবোঝাই বাল্কহেড ও স্পিডবোটের সংঘর্ষে ২৬ জন নিহত হয়। এর মধ্যে চারজনই খুলনার তেরখাদা উপজেলার পারোখালী গ্রামের।
নিহতরা হলো তেরোখাদার পারোখালী এলাকার মনির শিকদার, তার স্ত্রী হেনা বেগম, শিশু কন্যা সুমি ও রুমি খাতুন। ৮ বছরের শিশু মিম ঘটনাক্রমে বেঁচে যায়।
তেরখাদা উপজেলার সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ওহিদুজ্জামান জানান, ঢাকায় বসবাসকারী মনির শিকদারের মা গতকাল সন্ধ্যায় মারা যান। সংবাদ শুনে মাকে শেষবারের মতো দেখা ও লাশ দাফনে খুলনায় আসার জন্য খুব ভোরে ঢাকা থেকে খুলনার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। ভোর ৬ টায় মুন্সিগঞ্জের শিমুলিয়া থেকে একটি স্পীডবোটে ওঠে। ঘাটের কাছাকছি এলে নোঙর করা বালু বোঝাই একটি বাল্কহেডর সঙ্গে সংঘর্ষে স্পিডবোটটি উল্টে যায়।
চেয়ারম্যান ওহিদ আরো জনান, ওই ঘটনার পর পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা হতাহতদের উদ্ধার অভিযানে নামে। এ সময় ৮ বছরের শিশু মিম তার বাবা, মা ও দুই বোনের লাশ উদ্ধার করতে দেখে উদ্ধার কর্মীদের কাছে জানায়, উদ্ধারকৃতরা তার পরিবারের সদস্য। এরই সূত্র ধরে সেখানকার ইউএন মারফত তিনি জানতে পারেন মনির শিকদার খুলনার ছেলে। তারা খুব গরীব। লাশ বহন করার টাকাও তাদের নেই। তাই এলাকবাসীর উদ্যোগে তাদের লাশ খুলনায় আনা হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই